অবতক খবর,২২ ফেব্রুয়ারি: বর্তমানে বীজপুরের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেদিকে লক্ষ্য রেখে বীজপুরকে পাখির চোখ করে রাখতে চাইছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ বিগত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর অর্থাৎ ২৩শে মে-এর পর থেকে বীজপুরে যেভাবে গেরুয়া ঝড় বয়েছিল,যেভাবে একের পর এক তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে শুরু করে নেতারা বিজেপিতে যোগদান করা শুরু করেছিলেন তাতে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতবর্ষের বিজেপি রাজনীতিতে একটা নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছিল।

এখন দেখা যাচ্ছে বীজপুরে তৃণমূলের নেতৃত্ব যারা আছেন অর্থাৎ সুবোধ অধিকারী, পার্থ ভৌমিক এই দু’জনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন বীজপুরে যাতে কোনরকম কোন গণ্ডগোল না হয়। কারণ এতদিন ধরে তৃণমূল দল এই লোকসভা পরিচালনা করত না, এই লোকসভা কেন্দ্রে অর্জুন সিং এবং মুকুল রায় নিজেদের নাম করে সবকিছু পরিচালনা করতেন। সেই কারণে এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন।

জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে যে সকল ওয়ার্ডে মিটিং শুরু হয়েছে সেখানে প্রায় ১০-১৫ জনের কমিটি করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দলের জন্য যারা প্রকৃতই কাজ করেছেন তাদেরকে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

এই মিটিং নিয়ে অভিযোগ উঠছে যে, এখানেও চলছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এখানে দেখা যাচ্ছে পুরনো যারা তৃণমূল কর্মী অর্থাৎ ২৩শে মে-এর আগে থেকে যারা তৃণমূলের রয়েছেন, একদিকে যেমন তারা দায়িত্ব চাইছেন,অন্যদিকে ২৩শে মে-র পর তৃণমূল থেকে সরে গিয়ে বিজেপিতে যোগদানের পর আবার সুযোগ বুঝে যারা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন তারাও দায়িত্বের দাবি করছেন। আর এই নিয়েই বীজপুরের তৃণমূলের রাজনীতি এখন টালমাটাল।তবে গত ১৭ তারিখ থেকে ওয়ার্ড গঠনের যে মিটিং শুরু হয়েছে তাতে এখনো পর্যন্ত নির্দেশ রয়েছে যে,যারা দলের জন্য প্রকৃতই কাজ করছে এবং করবে তাদেরকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে।

এখানে একটি বিষয় তারা উল্লেখ করেছেন যে,২৩শে মে-র পর যারা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তারা কোন না কোন চাপে পড়েই বিজেপিতে যোগদান করেছেন।কিন্তু এখন আবার যারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছেন তাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হবে না এমনটা নয়। দলকে যারা প্রকৃতই সময় দেবে, দলের জন্য কাজ করবে তাদেরকেই এই ওয়ার্ড কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়ে বীজপুরের তৃণমূল দলের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘যারা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তাদের সকলকেই ভয় দেখানো হয়েছিল। তার মানে এই নয় দলে ফিরে এসে তারা বিজেপিতে মনোনিবেশ করছেন। দলের জন্য যে কাজ করবে সেই দায়িত্ব পাবে। এখানে পুরনো নতুন বলে কিছু নেই। এতদিন ব্যারাকপুর লোকসভায় মুকুল-অর্জুনের দল চলছিল কিন্তু এখন তৃণমূল দল চলছে। এখানে কোন স্বজনপোষণ চলবে না। যারা এ ধরনের অভিযোগ করছেন তারা প্রকাশ্যে কোনো অভিযোগ করছেন না। তারা একে ওকে ভুল বুঝিয়ে গোষ্ঠী কলহ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।’