অবতক খবর,৫ সেপ্টেম্বর: মহান দার্শনিক,ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন আজ। তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্যকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাতে আজকের দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিবসটি ভারতবর্ষে এক ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে। ‌ শিক্ষা জগতের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে এই দিনটি। শুধু শিক্ষক নয় শিক্ষার্থীরাও এর সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে এবং আগামী প্রজন্ম যাতে শিক্ষাগতভাবে ভারতবর্ষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তেমনই রুপরেখা রচিত হয়েছে ভারতবর্ষে। ‌ বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গেও এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। এদিন আসলে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলনের উৎসব। ‌ তারা পারস্পরিক সাহচর্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করে। শিক্ষকদের যেমন তারা সম্মানিত করে এবং শ্রদ্ধা জানায়, পারস্পরিকভাবে শিক্ষকেরা ও ছাত্রদের সেই দিনটিকে বিশেষভাবে কাছের করে নেন। অর্থাৎ এটি একটি ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের ভালোবাসার সৌহার্দ্যের দিন হিসেবে সূচিত।

বীজপুর অঞ্চল জুড়ে আজ শিক্ষক দিবস পালিত হলো। কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলগতভাবে এই দিবসটি পালন করা হলোনা, বিভিন্ন সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন– তারাও বীজপুর জুড়ে এই দিনটি পালন করছে। এই দিনটিকে সামনে রেখে অনেক সংস্থা আবার যারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া তাদের পঠন-পাঠন সামগ্রী প্রদান করছে। অর্থাৎ শিক্ষা যে জীবনের অঙ্গ,পশ্চিমবঙ্গ সেটাই প্রমাণ করতে চাইছে।

আজ হালিশহর লোকসংস্কৃতি ভবনে রাজনৈতিক উদ্যোগে শিক্ষক দিবস পালিত হয়। এছাড়াও কাঁচরাপাড়া কলেজ মোড়ে,মানিকতলা ইয়ং বয়েজ ক্লাব, লিচুবাগান অঞ্চলে, এছাড়াও একটি সংগঠন হালিশহর ইউবিআই ব্যাংকের পাশে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। হালিশহর বলাকা শিশু মহলের উদ্যোগে এই করোনা মহাকালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষকদের সংবর্ধনা জানান ক্লাব নেতৃত্ব শুভঙ্কর ঘোষ(সোনাই)।

প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই দিনটি উল্লেখযোগ্যভাবে পালিত হয়। আজ ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে যে মেলবন্ধন ঘটছে সেটি কাঁচরাপাড়ার জনজীবনে বিশেষ ঘটনা হয়ে থাকবে। এই অঞ্চলে শিক্ষক দিবসটি এমন ভাবে রূপায়িত হয়েছে যে,এটি জনসংযোগেরও ভূমিকা নিয়েছ।

এই অঞ্চলে জনজীবনে যারা বিভিন্ন কর্তব্যের সঙ্গে জড়িত প্রশাসনিকভাবে, যারা আমাদের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের সবসময় উৎসর্গ করেছেন,যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা মিড-ডে-মিল পান তাদের পাশেও দাঁড়ান এই দিন বিভিন্ন সংগঠন।