অবতক খবর,৫ আগস্ট: বীজপুরে বিজেপি দল যে কি পরিস্থিতিতে রয়েছে তা মানুষ বুঝতে পারছেন না। আদেও কি বিজেপি এখানে আছে? এই প্রশ্ন এইজন্যই মানুষ তুলছেন কারণ তাদের এখানে কোন ভূমিকাই দেখা যাচ্ছে না।

বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায় তাঁরও কোন ভূমিকাই নেই বীজপুরে। তিনি নিজে কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না।  অযোধ্যায় যে রাম মন্দিরের ভূমি পুজো হল, সেখানে না যেতে পারলেও স্থানীয় মন্দিরে পুজো করল সকল কর্মীরা। কিন্তু শুভ্রাংশু রায়ের এক্ষেত্রে কোন ভূমিকাই দেখা গেল না। শোনা গেছে, আজকের এই বিশেষ দিন উপলক্ষে তিনি নাকি অনেক জায়গায় মাস্ক এবং লাড্ডু পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে আজ স্বশরীরে কোথাও দেখা যায়নি।

তবে এই ভূমি পুজোর সাথে সাথে সেইদিন আয়োজন করা হয়েছিল এক ভার্চুয়াল সভা। এই ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল জেলা বিজেপি কার্যালয় থেকে। কিন্তু এই ভার্চুয়াল সভায় বীজপুরের মন্ডল কমিটি গুলিকে দেখা গেলনা। যেখানে দুটি মন্ডলে মোট ১৬ জন করে কমিটি মেম্বার রয়েছেন, সেখানে দেখা গেল এই ভার্চুয়াল সভায় মাত্র ৬ জন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আরো প্রশ্ন উঠেছে যে,এই যে কমিটি গঠিত হয়েছে,তাদের কাজ কি? তারা কি আদেও কোন কাজ করছে? সেটা বীজপুরের মানুষ বুঝতে পারছেন না।
অন্যদিকে বীজপুর বিজেপি মন্ডল-১-এর সোমনাথ সাধুখা,যিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন, তাঁকে নাকি এই ভার্চুয়াল সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সূত্রের খবর,এই নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠী কলহ চরমে পৌঁছেছে।

এদিকে এইসকল বিষয় বীজপুরের বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায় এবং ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর বোধগম্য হচ্ছে না।
ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমা শঙ্কর সিং তিনিও আঁধারে পড়ে গেছেন।
এই যে বিজেপি দল তারা কোনপথে চলছে,কি করছে তা কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। যে বিজেপি দল বারংবার বলে যে,তারা আরএসএস পরিচালিত দল,তাদের নিয়মানুসারে চলে। কিন্তু মানুষ তো বিজেপি দলের কোন নিয়ম শৃঙ্খলাই দেখতে পাচ্ছেন না।এই অঞ্চলে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে বহু আগেই। যে যার নিজের গোষ্ঠী তৈরি করে নিয়েছে এখানে।
অন্যদিকে নরেন রায়,যিনি কাঁচরাপাড়া মন্ডল-২ এর সভাপতি পদে রয়েছেন। তার নামে একটা অভিযোগ উঠে এসেছে। তার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই নিয়ে মহিলা কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন যে,এই নরেন রায়ের সঙ্গে কাজ করা যাবে কিনা।

বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন যে,নরেন রায়ের এক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে সেই ভিডিওতে কি রয়েছে তা আমরা যচাই করে দেখিনি। সেই নিয়েই নাকি মহিলা কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
তবে প্রাক্তণ মন্ডল সভাপতি সুশান্ত বালা কিংবা সমর দাস যেই হোন না কেন,পুরনো কর্মীদের পাত্তাই দেওয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ পুরনোদের দলে গুরুত্বই দিচ্ছেন নতুনরা।