অবতক খবর,৪ জানুয়ারি: ৩ জানুয়ারি ‘দিদিকে বলো’ বৈঠক হয়ে গেল তৃণমূল দলের নেতৃত্বদের মধ্যে। সেখানে সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোজাসুজি জানিয়ে দেন, নেগেটিভ মার্কিং থাকলে টিকিট দেওয়া যাবে না।জনসংযোগ,ভাবমূর্তি,কাজ দেখেই ভোটের টিকিট দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এখন প্রশ্ন, এতে যে ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে, অভিষেক বাবু? বীজপুরে কোন কাউন্সিলরের নির্ভেজাল ভাবমূর্তি রয়েছে,এটা আপনাকে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখতে হবে। কাঁচরাপাড়ার কাউন্সিলররা চোখের সামনে পুকুর ভরাট দেখতে অভ্যস্ত। বেআইনি টাকা লেনদেন হচ্ছে এই কারণে।বীজপুরের কাউন্সিলররা রাজ্য সরকারের জায়গা পিডব্লুডি-র জায়গায় দোকান তৈরি করার সুযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাই করছেন।বীজপুরের কাউন্সিলররা প্রোমোটারদের বেআইনি কাজে মদত দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা কামাই করছেন। সরকারি জায়গা থেকে মাটি বেচে দিচ্ছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সাট্টা চালনার মদত দিয়ে কামাই করে নিচ্ছেন। এরজন্য কোন প্রমাণের দরকার হয়না। অভিষেকবাবু আপনি একবার বীজপুরে আসুন, নিজে তদন্ত করুন, সাধারণ মানুষের সাথে প্রকাশ্যে কথা বলুন, কি কি হচ্ছে জানতে পারবেন। ‘দিদিকে বলো’-তে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক কাউন্সিলররা তো দুর্ব্যবহার করেন। বীজপুরে নারী নিগ্রহের ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। আপনি নির্ভেজাল কাউন্সিলর কি খুঁজে পাবেন?

আপনি কি জানেন না যে, কাউন্সিলরের সঙ্গে কামাই শব্দটি জড়িয়ে গিয়েছে। আর তা যদি বিশেষ করে কাঁচরাপাড়া হয় তবে কাঁচরাপাড়ার ‘ক’ বর্ণটির সঙ্গে কামাই, কাউন্সিলর একাকার হয়ে গিয়েছে।

আপনি বলছেন দাদা দিদি ধরেও টিকিট মিলবে না। এখন দাদা-দিদিরাও কতখানি সৎ, নির্ভেজাল সেই প্রশ্ন উঠে গেছে। ভোট পরিচালনার মাস্টার প্রশান্ত কিশোর জানিয়ে দিয়েছেন,আমার থেকে স্থানীয় রাজনীতি আপনারা অনেক ভালো বোঝেন, জিততে হবে নিজের ভাবমূর্তি,জনসংযোগে। আমি জেতার রাস্তা মসৃণ করে দিতে পারি। কিন্তু জিততে হবে নিজের জোরেই।

ভাবমূর্তি এবং জনসংযোগ দুটি গালভর্তি ভালো কথা। প্রশান্ত বাবু কিশোর কণ্ঠে সঠিক কথাই বলেছেন। কিন্তু এই অভ্যাস রপ্ত করতে গেলে দীর্ঘদিনের চর্চা লাগে, নিজেদের জীবনকে অন্যভাবে গড়ে তুলতে হয়। বীজপুরের কাউন্সিলরদের মধ্যে কি সেই নিষ্কলঙ্ক মূর্তি আছে? বীজপুরের কাউন্সিলররা ঝোপ বুঝে কোপ মারেন। বেশিরভাগ কাউন্সিলররাই গেরুয়া উত্তাপে বিজেপি হয়ে গিয়েছিলেন। তারা আবার ফিরে এসেছেন তৃণমূল দলে। অর্থাৎ তৃণমূলের কাউন্সিলররাই দলবদলু নামে অভিহিত হয়েছেন। সুতরাং প্রশান্ত বাবু, অভিষেক বাবু শুনে রাখুন উপযুক্ত কাউন্সিলর অর্থাৎ জনপ্রতিনিধি পেতে গেলে ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে।