অবতক খবর,১৭ ডিসেম্বর: কি হচ্ছে এই বীজপুরে? কি করছেন নগর প্রশাসন থেকে শুরু করে থানা প্রশাসন?

বীজপুরে চলছে চুরি,ডাকাতি, বেআইনিভাবে জায়গা-জমির দখলদারি, পুকুর ভরাট,পুকুর মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য,বেআইনি কারবারের রমরমা,তোলাবজি, বেআইনিভাবে গর্ত করে বিজ্ঞাপনের ল্যাম্প পোস্ট বসানো এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বদলি। বর্তমানে এই পরিস্থিতিই চলছে বীজপুরে। কিন্তু এইসব ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগী বীজপুরবাসী। আর এইসকল ক্ষেত্রে নীরব দর্শক নগর প্রশাসন, থানা প্রশাসন এবং অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা নেতারা।

এই সকল প্রসঙ্গের কথা ছেড়ে দিলেও দখলদারির প্রসঙ্গ একেবারেই ওড়ানো যায় না। কারণ এখন বীজপুরে যে যার ইচ্ছেমতো জায়গা দখল করে বসে পড়ছে দোকান নিয়ে। অর্থাৎ আইন-শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চারিদিকে চলছে দখলদারি।

কাঁচরাপাড়া ১৪ নং ওয়ার্ড কলোজ মোড় বাস স্ট্যান্ড দখল করে তৈরি হয়েছে বেআইনি দোকান। কে করেছে,কার অনুমতিতে করেছে তা কিছুই জানে না কেউ। এখন ফুটপাথের ফাঁকা জায়গাটুকুও দখল হয়ে যাচ্ছে। আর যেই জায়গা একবার দখল হচ্ছে তা আর ফাঁকা হচ্ছে না। তা সে বাস স্ট্যান্ড হোক কিংবা রাস্তার ধারের শৌচালয়,সেগুলির সামনের অবশিষ্ট একটু জায়গা, সব জায়গাতেই গড়ে উঠেছে ছোট ছোট দোকান। এখন বীজপুরে ফুটপাত নেই বললেই চলে।

এসব দেখে শহরবাসী বলছেন, এমনিতেই গাড়িঘোড়ার পরিমাণ অত্যাধিক বেড়েছে। রাস্তা পারাপার করা যায়না, তার উপর ফুটপাথ না থাকলে মানুষ হাঁটবে কোথায়? রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে গেলে থাকে দুর্ঘটনার ভয়। আগাছার মত এইসব দোকান গজিয়ে ওঠায় সমস্যায় পড়েছেন পথচলতি মানুষ।

বর্তমানে বীজপুরে যা পরিস্থিতি চলছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলাকে কোনো তোয়াক্কাই করছে না এই আইন ভঙ্গ কারীরা। সাধারণমানুষ বলছেন, প্রশাসন এবং নেতারা এ ক্ষেত্রে পুরোপুরি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। সিনেমা হলে যেমন শো চলে, আর আসনে বসে দর্শকরা যেভাবে মনোরঞ্জন করেন, বীজপুরের অবস্থাটাও ঠিক সেইরকম। মনে হচ্ছে যেন কোন শো চলছে, আর প্রশাসন ও নেতারা বসে আছেন দর্শকেরা আসনে। অর্থাৎ তাদের মনোরঞ্জন হচ্ছে।

এইসব দেখে সাধারণ মানুষ এখন প্রশ্ন তুলেছেন,কেন আইন-শৃঙ্খলাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর মনোভাব এই আইন ভঙ্গ কারীদের? এদের প্রশ্রয় দিল কে? তবে এইরকম প্রশাসন বা দায়িত্বে থাকার নেতাদের প্রয়োজন কি?

তারা আরো বলছেন, আসলে এই আইন ভঙ্গ কারীরা জানেন যে তাদের কেউ কিছু করতে পারবেন না। তাই তাদের এইরকম মনোভাব। বীজপুরে তো লুট চলছে। যেভাবে যা চলছে তা চলুক তবে। লোক দেখানো প্রশাসন বা দায়িত্বে থাকা নেতাদের যখন কোনো ভূমিকাই নেই তবে তাদের প্রয়োজন কি?