অবতক খবর,১৪ মে: বীজপুর পৌর প্রশাসন এবং থানা প্রশাসন যৌথভাবে দিন সাতেক আগে যে প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন করোনা প্রতিরোধের জন্য তাতে বীজপুরের মানুষ অত্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন এবং দুই প্রশাসনের এই ভূমিকা দেখে তারা সাবাস জানিয়েছিলেন।

বিশেষ করে ২৫শে বৈশাখের দিন রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে আইসি কাঁচরাপাড়া শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে গান্ধী মূর্তিকে সাক্ষী রেখে যে প্রচারকার্য চালান সেই প্রচারকার্যে যে সদর্থক ভূমিকা ছিল তাতে কাঁচরাপাড়ার সাধারণ মানুষ অত্যন্ত সন্তুষ্ট। মিডিয়া মাধ্যমে এটি লাইভ সম্প্রচার করায় দেখা গেছে যে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ এটি দেখেছেন এবং বহু মন্তব্য করেছেন।‌

কিন্তু কিছুদিন হল দেখা যাচ্ছে যে লকডাউন প্রক্রিয়াটি আর আগের মতো অবস্থায় নেই, এটু শৈথিল্য দেখা দিয়েছে। তাই অঞ্চলের মানুষ একটু মুষড়ে পড়েছেন। তারাও চাইছেন না বীজপুর অঞ্চলটি কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত হোক। ‌তাদের আরো আকাঙ্ক্ষা রয়েছে বীজপুর থানা প্রশাসনের প্রতি। তারা চাইছেন বীজপুর আইসি নিজে যে সক্রিয়তা দেখিয়েছেন গান্ধী মোড়ে, এটি তিনি একটি রুটিনমাফিক যদি থানার মোড় অঞ্চল,বাগ মোড় অঞ্চল ,কলেজ মোড় অঞ্চল,স্টেশন অঞ্চলে স্বয়ং উপস্থিত হয়ে সাধারণ মানুষের কাছে বার্তা দেন, লকডাউনের গুরুত্ব সম্বন্ধে বলেন, বীজপুরবাসীর নিজেদের স্বাস্থ্যসচেতনতার কথা বলেন তাহলে সেটি অনেক বেশি গুরুত্ব পায়। এবং বীজপুর পুলিশ যে লকডাউনের ব্যাপারে সক্রিয়, তারা যে সত্যিই জনগণের সঙ্গে আছেন, বীজপুরকে কনটেইনমেন্ট জোনে পরিণত হতে দিতে চান না সেটি বোঝা যায়।‌বীজপুরবাসীরও এমনই আকাঙ্ক্ষা।

সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী, কয়েকজন চিকিৎসক, কয়েকজন আইনজীবী পুলিশের সেদিনের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।