অবতক খবর,২৪ আগস্টঃ তৃণমূল দলের রাজনৈতিক বিপর্যয়কর অবস্থা চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে দায়িত্ব নিয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন এবং কোনো দুর্নীতির খবর পেলে থানায় এফআইআর করতে বলছেন জেলা শাসকদের। তার মানে এতদিন যে দুর্নীতি চলছিল বা দুর্নীতি আছে তিনিই সেটা স্বীকার করে নিচ্ছেন। অন্যদিকে বিভিন্ন পোস্টার পড়ছে,”পুরানোই ভিত্তি নতুনই ভবিষ্যৎ।” এই স্লোগান নিয়েও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে একটা দোদুল্যমান অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা বুঝতে পারছে না রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে। ‌ সংবাদপত্র মিডিয়া যেভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের ঢালাও দুর্নীতির হদিশ দিচ্ছে তাতে তৃণমূল কর্মীরা একটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। কাঁচরাপাড়ারও রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হচ্ছে কিনা কে জানে! ‌

এদিকে কল্যাণীর পট পরিবর্তন হয়েছে। সেখানে নিশ্চিতভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা পর্যুদস্ত হয়েছেন। যে অনুগামীরা ক্ষমতায় এসেছেন সূত্রের খবর,তারা অভিষেক শিবিরে রয়েছেন। এদিকে কাঁচরাপাড়ায়ও বিস্তর আলোচনা চলছে। এখানকার বর্তমান পরিচালক নেতৃত্বরা আফসোস করে অনেক সময় বলছেন আর রাজনীতি করা যাবে না। এখানেও নিশ্চিতভাবে শিবির তৈরি হচ্ছে । তৃণমূলে তো আগমন বহির্গমন মানে দলবদলু এই দুষ ব্যবস্থা চালু আছেই, হয়তো দেখা যাবে যারা যারা দল বদলু তারাই ক্ষমতায় এগিয়ে আছে। অদ্ভুত একটা অবস্থা চলছে। এই নিয়ে বীজপুরে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ‌

আরো খবর যে, কিছু কিছু নেতা ভাব ভঙ্গিতে হাঁটাচলার মাধ্যমে তৃণমূলের নেতায় পরিণত হয়ে গিয়েছিলেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আসায় তাদেরও বর্তমান নেতৃত্ব সরিয়ে দিয়েছেন।ফলত এই বীজপুর অঞ্চলে তৃণমূল রাজনীতির মধ্যে এবং দলীয় নেতাদের মধ্যে একটা দোদুল্যমানতা সৃষ্টি হয়েছে।
এক সিপিএম নেতা জানালেন এই তৃণমূল দলের এমন অবস্থা যে এরা এখন শ্লোগানও চুরি করছেন। যেমন পুরানোই ভিত্তি নতুনই ভবিষ্যৎ এই স্লোগানে তারা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন নেত্রীর অনুপ্রেরণায় আর কাজ হচ্ছে না তিনি বলেন স্লোগান কি আসলে এমন হবে– পুরানোটা পুরোই ভুল, নতুনটা নতুন গুল!