অবতক খবর,২৯ জুলাইঃ বিহারের কলেজে পড়তে গিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু হল হুগলির যুবকের।

কলেজ হোস্টেলের ছাদ থেকে পরে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় ছাত্রের পরিবারকে।

শেওড়াফুলির জগবন্ধু মুখার্জি লেনের বাসিন্দা সুশান্ত সাঁতরার ছেলে সুরম্য সাঁতরা(২১)। ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। ২০২২ সালে বিহারের মুজাফফরপুর রাজেন্দ্র প্রসাদ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়। সেখানে কলেজেরই হোস্টেলে থাকত সুরম্য।গতকাল ভোর রাতে কলেজ হস্টেল থেকে ছাত্রের বাড়িতে ফোন করে বলা হয় রাত তিনটে নাগাদ হোস্টেলের তিন তলার ছাদ থেকে পড়ে গেছে সুরম্য। তাকে প্রশান্ত মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পূর্বা এক্সপ্রেস ধরে বিকালের মধ্যে ছাত্রের বাবা কাকা বিহারে পৌঁছে যান। কিন্তু মোজাফফরপুর হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে পাটনা কলকাতা রাজ্য সড়কের বক্তিয়ারপুর এলাকায় রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে ছাত্রের নিথর দেহ বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ছাত্রের আত্মীয় তিলকচন্দ্র মুখার্জি বলেন,হাসপাতাল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয় ময়না তদন্ত করে।এটাতেই আমাদের সন্দেহ এর মধ্যে রহস্য কিছু আছে। কিছু চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে লোডশেডিং ছিল তাই পাঁচ ছয় জন ছাত্র হোস্টেলের ছাদে গিয়েছিল।সেখান থেকেই কোনভাবে সুরম্য পড়ে যায়।কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে এটা নিছক দুর্ঘটনা নয় তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।ঘটনার তদন্ত হোক।

ছাত্রের বাবা সুশান্ত সাঁতরা বলেন,ঘটনাস্থলে সিনিয়র কয়েকজন সিনিয়র ছাত্র ছিল।তারা বারবার বোঝনোর চেষ্টা করছিল এটা নিছক দুর্ঘটনা।কলেজ খুব দ্রুত সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে।একটা সাদা কাগজে ছেলের নাম লিখে দিয়ে দেয়।

বিহার থেকে মৃতদেহ নিয়ে এসে আজ শেওড়াফুলির শ্মশান ঘাটে দাহ করা হয়।ঘটনায় শোকের ছায়া ছাত্রের পরিবারে।