অবতক খবর,১ জানুয়ারি: মানুষ কত ভাবেই না বর্ষ বরণ করে। সেই তালিকায় সর্বাধিক জনপ্রিয় নাচ গান, পুজো, পিকনিক, আড্ডা , বেড়াতে যাওয়া। কিন্তু বিষ্ণুপুরের সদানন্দর কাছে বর্ষ বরণের পদ্ধতি জানলে চোখ কপালে উঠবে অনেকেরই। ভ্রু কুঁচকে কেউ কেউ বলতে পারেন এ আবার কেমন বর্ষ বরণ?

বিষ্ণুপুরের বাহাদুগঞ্জ এলাকায় অভাবী পরিবারে জন্ম সদানন্দ দত্তর। ছোট থেকেই জলের প্রতি অদ্ভূত টান। ছোট ত্থেকেই সময় পেলেই ছুটে যেতেন বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের খনন করা সুবিশাল লালবাঁধে। সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে সাঁতার কেটে বেড়াতেন। সুবিশাল লালবাঁধের এপাড় থেকে সাঁতরে অপর পাড়ে হাজির হওয়া সদানন্দর কাছে হয়ে ওঠে নস্যি। সময়ের সাথে সাথে সংসার চালাতে গাড়ি চালকের পেশা বেছে নিতে হয় তাঁকে। পরবর্তীতে কিছুদিন বিষ্ণুপুর পুরসভা পরিচালিত একটি সুইমিং পুলে অস্থায়ী প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ পান। কিন্তু লক ডাউনের সময় সেই সুইমিং পুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সদানন্দ হয়ে পড়েন বেকার। সদানন্দ যে পেশাতেই থাকুননা কেন লালবাঁধের জলের নেশা ছাড়েনি তাঁকে।

লালবাঁধের যে জলকে সদানন্দ এত ভালোবাসেন সেই জলকে জড়িয়েই সদানন্দ চান একদিন বিশ্ব রেকর্ড করতে। সেই উদ্যেশ্যে গত কয়েকবছর ধরে লালবাঁধের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা জলে নববর্ষের দিন বছর সংখ্যার সম সংখ্যক ডুব দিয়ে বর্ষবরণ করার অভিনব কর্মকান্ড শুরু করেন। চলতি বছরও নববর্ষের দিন লালবাঁধের জলে প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে একনাগাড়ে ২০২২ টি ডুব দিলেন সদানন্দ। তাঁর এই ডুব দেখতে শুধু বিষ্ণুপুর শহরের মানুষ নয় নববর্ষের দিন সুপ্রাচীন মল্লগড়ে হাজির পর্যটকরাও এদিন হাজির হয়েছিলেন লালবাঁধের পাড়ে।