রাষ্ট্রসংঘ। এটা কিসের সংঘ এটা এখনো বুঝিনা আমি। আজ ৭ এপ্রিল,বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। সে দিবসটি কেমন আন্তর্জাতিকে–আসুন আজ একটু ভেবে নি।

বিশ্ব-স্বাস্থ্য দিবস
তমাল সাহা

টুকুন আজ উঠলো খুব ভোরে।
উঠেই আমার দরজার
কড়া নাড়ে জোরে জোরে।

বাবা! বাবা! বিশ্ব-স্বাস্থ্য দিবস আজ।
উঠে পড়ো সাত তাড়াতাড়ি।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্স নেই,
নেই কোনো ডাক্তার
দেখো, উঠেছে স্লোগান—
আসুন, বিশ্ব স্বাস্থ্য গড়ি।

বাবা! বিশ্ব-স্বাস্থ্য দিবস মানে কি?
মানুষের স্বাস্থ্যও তো পণ্য,চলে বেচাকেনা।
বাইপাসের ধারে দেখো,
কত শত শত স্বাস্থ্য কারখানা!
আমরা চিরকালই হা-ভাতে
আমাদের স্বাস্থ্যও এখন কর্পোরেটের হাতে!

মজুর-কামিন অনাহার অপুষ্টিতে মরে যায়
চটকল বস্তিতে, চা-বাগানে।
রাষ্ট্র সোল্লাসে বলে—
আমরা নেমেছি স্বচ্ছ অভিযানে।

বিশ্বের স্বাস্থ্যও কি ভালো আছে?
মাথার উপরে উড়ে যায় বিধ্বংসী যুদ্ধ বিমান।
মানুষই তো মানুষের মাংস খায়—
সংহারে নামে, চেয়ে দেখি,
লড়াইয়ে মেতেছে বিশ্বপাড়ার মস্তান।

ঘাতকেরাই আস্তিনে লুকিয়ে রেখে অস্ত্র
চেল্লায়– স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য! স্বাস্থ্য!
বিশাল সেমিনার বিশ্বজুড়ে আর্তনাদ!
বুদ্ধিজীবীরাও খুবই ব্যস্ত।

এ এক মহা বুজরুকি —
বিশ্ব-স্বাস্থ্য দিবস পালন।
‘ওরে! জীবন তো গেল হেলাফেলা’—
এখনও ভেসে যায় সুর,
গেয়ে যায় আমাদের লালন।