অবতক খবর,২৯ জানুয়ারি,মালদা:- বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে দিনের পর দিন সহবাস করার অভিযোগ উঠলো সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রেমিকের বিরুদ্ধে । এই ঘটনার ব্যাপারে বেশ কিছুদিন আগে ইংরেজবাজার মহিলা থানায় ওই যুবতী লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। অবশেষে সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রেমিকের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত নালিশ জানিয়েছেন ওই যুবতী। আগামীতে পুলিশ কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এব্যাপারে মানবাধিকার কমিশন এবং আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিযোগকারী ওই ছাত্রী।

অভিযোগকারী ওই ছাত্রীর ছায়া চৌধুরীর বাড়ি কালিয়াচক থানার উমাকান্তটোলা এলাকায় । মালদা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পাঠরতা রয়েছেন তিনি। মালদা শহরে যাতায়াত করার সময় ইংরেজবাজার থানার মহদীপুর এলাকার এক যুবক পাণ্ডব রায়ের সাথে আলাপ হয় তার । এরপরে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক । কয়েক বছর ধরেই তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানিয়েছেন ওই কলেজ ছাত্রী। এরপর তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় অভিযুক্ত ওই যুবক। এমনকি বিয়ের জন্য রেজিস্ট্রি করার ক্ষেত্রে একটি কাগজে সই করিয়ে নেয় ওই যুবতীর। আর তারপর থেকেই শুরু হয় গোলমাল। পরে ওই যুবতীকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যান করে ওই যুবক। বিষয়টি জানতে পেরে ওই যুবকের বাড়িতে যোগাযোগ করে সে‌। কিন্তু তাকে শাসানি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । পরে পুরো বিষয়টি নিয়ে ইংরেজবাজার মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগকারী ওই ছাত্রী ছায়া চৌধুরীর আরো অভিযোগ , তাকে এখন নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে । যেহেতু অভিযুক্ত ওই যুবক সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ করে। তাই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না। এজন্য এদিন তিনি পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই যুবকের সঙ্গে কোনরকম ভাবে যোগাযোগ করা যায় নি। পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, এব্যাপারে কিছু জানা নেই। যদি অভিযোগ হয়, তাহলে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।