অবতক খবর,১৮ মে: উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকার ডুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘা সুকান্ত পল্লী এলাকার পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যা শ্যামলী বালা পাইকের কাছে মঙ্গলবার স্থানীয় গৌরাঙ্গ দাসের স্ত্রী সুমনা রায় কন্যাশ্রীর ফর্ম জমা দেবার জন্যে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিতে আসে । সার্টিফিকেটে বিবাহিত উল্লেখ করে পঞ্চায়েত সদস্যা । সুমনা রায় অবিবাহিত লিখবার জন্য আবেদন করে পঞ্চায়েত সদস্যার কাছে, কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যা শ্যামলী দেবী অবিবাহিত লিখতে অস্বীকার করে সার্টিফিকেটে বিবাহিত লিখে দেয় ।

পঞ্চায়েত সদস্যার সার্টিফিকেটে বিবাহিতর আগে ‘অ’ লিখে পঞ্চায়েত থেকে অবিবাহিত সার্টিফিকেট নিয়ে স্কুলে জমা দেয় সুমনা রায় । স্কুল থেকে পঞ্চায়েত সদস্যার কাছে ফোন এলে পঞ্চায়েত সদস্যা স্কুল কে জানায় সে বিবাহিত লিখে পাঠিয়েছিলো অবিবাহিত লেখেনি । এর পরেই সুমনা রায়ের পরিবার থেকে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী কে ফোনে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । এবং মধ্যরাতে পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ির দরজা ভাঙচুর করা হয় । ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পঞ্চায়েত সদস্যা শ্যামলী বালা পাইক আতঙ্কে আছেন বলেও জানান। ঘটনার পরে সকালেই গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছে ।

পঞ্চায়েত সদস্যা শ্যামলী বালা পাইক বলেন, আমি আমি সার্টিফিকেটে বিবাহিত লিখে দেওয়া সত্বেও আমার সার্টিফিকেট বিকৃত করে অবিবাহিত লিখে স্কুলে জমা দিলে স্কুল থেকে আমাকে ফোন করলে আমি সঠিক কথা বলেছি । তার পরেই আমার স্বামীকে ফোন হুমকি দিয়েছে এবং মধ্য রাতে আমার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে ।


এই বিষয়ে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন সার্টিফিকেট বিকৃত করে গৌরাঙ্গ দাস অন্যায় করেছে । আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাবো তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ।

ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ দাসকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ ।