অবতক খবর,১২ জানুয়ারি: শুরুটা করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তারপর থেকেই রীতিমতো গেরুয়া শিবিরের অন্দরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। যদিও সৌমিত্র খাঁ এর সেই জল্পনা বেশ কিছুদিন আগে কোন রকমে চাপা পড়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে সেটার থামার কোনো লক্ষণ নেই।

কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ মতুয়া সম্প্রদায়ের ৫ জন বিধায়ক বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন। সেই তালিকায় পরপর নাম লেখান বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক এবং সম্প্রতি খড়্গপুরের অভিনেতা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই একই পথে হাঁটলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা। তিনি বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন।

শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সংগঠনের যে সমস্ত গ্রুপ ছিল সেগুলো থেকেও বেরিয়ে গিয়েছেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। শঙ্কুদেব পণ্ডা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য নেতাদের উদ্দেশ্যে নবান্ন দখলের রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছিলেন। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ২০০ টি আসন জয় করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার।সেই দাবিও একাধিক বার করতেন বিজেপি নেতারা।

প্রায় প্রতিদিন মোদী, শাহ,নাড্ডা থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং নেতারা বাংলায় এসে নির্বাচনী প্রচার করেছেন। কিন্তু ফলাফল বের হতেই দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নবান্ন দখল করেছে। বিজেপির স্বপ্ন সফল হয়নি। তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বিদ্রোহ শুরু হয়ে যায়। একে একে দল ত্যাগ করতে থাকেন বিধায়ক, কাউন্সিলর থেকে শুরু করে দলের সংগঠনের নেতারা। এবার সেই একই পথে হেঁটে বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। আগামী দিনে কিভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেয় বিজেপি, সেটাই দেখার বিষয়।