অবতক খবর,বিনয় ভরদ্বাজ,২২ মে:: বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে শিক্ষা দিতে উদ্যোগী হলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে ও তাঁর নিশানায় রেখে,তাঁদের উচিত শিক্ষা দিতে চান অর্জুন সিং। তৃণমূল যে কাজ এতদিন করে উঠতে পারেনি সেই কাজ এবার নিজেই করে দেখাতে চান সাংসদ অর্জুন সিং।দল ত্যাগের পর থেকে শুভেন্দুকে কোনমতে বাগে আনতে পারছে না তৃণমূল। তাই এবার শুভেন্দু সহ তাঁর বাবা ও ভাই তিন জনকেই কোণঠাসা করতে মাঠে নেমে পড়েছেন অর্জুন।

জানিয়ে রাখি, বিজেপির টিকিটে জয়ী ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং আজ রবিবার ক্যামাক স্ট্রীটে হাজির হয়ে তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন। তিনি যোগ দিয়েই পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে, বিজেপি দল তিনি ত্যাগ করে নিজের পুরনো ঘরেই ফিরলেন। তিনি জানান যে, তৃণমূলের সঙ্গে তার জন্ম লগ্ন থেকেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন এবং এখনো আছেন। শুধুমাত্র ভুল বোঝাবুঝি এর জন্যই তিনি বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন ঘরে ফিরে এসেছেন।

তিনি আরো জানান যে, বিজেপি নেতারা এখন ঠাণ্ডা ঘরে বসে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে রাজনীতি করেন, মাঠে ময়দানে নামেন না। বাস্তব রাজনীতি থেকে তারা অনেকটাই দূরে। তাই তিনি মানুষের জন্যই রাজনীতি করতে বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। এর পাশাপাশি তিনি পরিষ্কার করে বলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী,তাঁর বাবা ও ভাই দুজনেই তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি ও তমলুক থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। অথচ তারা বিজেপিতে রয়েছেন।

অর্জুন জানান, এবার শুভেন্দুকে তাঁর বাবা এবং ভাইয়ের স্টাইলে উত্তর দিতে তৈরি। এক প্রশ্নের উত্তরে অর্জুন বলেন,শুভেন্দু দলত্যাগের দোহাই দিয়ে বহুবার গর্জেছেন। শুধু তাই নয়, কোর্টে যাওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন । এখন তিনি আগে তার বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করিয়ে তারপর যেন তিনি অন্যের উপর আঙ্গুল তোলেন।

অর্জুন জানান যে, শুভেন্দুকে এবার উচিত শিক্ষা দেবেন। শিশিরবাবু তৃণমূলের সিম্বলে প্রতিনিধি হন কাঁথি থেকে। তৃণমূলের ভোটেই জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। তারপর পদত্যাগ না করেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন। একই অবস্থা তার ভাই দিব্যেন্দুর। তিনিও তৃণমূলের টিকিটে তমলুক থেকে সাংসদ হন। কিন্তু তিনিও শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপির রাঁগ আওড়াতে শুরু করেন। শুভেন্দুর সাহস বা ক্ষমতা থাকলে আগে তাঁর বাবা ও ভাইকে পদত্যাগ করান। তারপরে যেন অন্যের দিকে আঙ্গুল তোলেন।