বীজপুরে সাংসদ অর্জুন সিং, উপস্থিত একাধিক নেতা নেত্রী ও সাধারণ মানুষ

অবতক খবর,৫ ফেব্রুয়ারি : বীজপুরের দুর্দিনের তৃণমূলের সৈনিক নাম বলতে গেলেই উঠে আসে সুজিত দাসের নাম। পদে আর ক্ষমতায় থাকার জন্য অনেকেই দল পরিবর্তন করেছেন, কিন্তু সুজিত দাস দল পরিবর্তনের কথা কখনো ভাবেননি। তিনি শুধু একটাই কথা ভাবেন যে,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই তাঁকে চলতে হবে।

বিগত দিনেও দেখা গেছে, টিকিট না পেয়ে অনেকেই দল পরিবর্তন করেছে,অনেকে রাজনীতি ছেড়েছে। কিন্তু সুজিতবাবু সেই ধরনের নেতা নন। তিনি সকলের নেতা তথা একজন সাধারণ কর্মী। বীজপুর অঞ্চলের সকল দলের কর্মীর কাছেই তিনি প্রিয়। কারণ তিনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখনও তিনি সকলের পাশে থাকতেন। আর এখন যখন তাঁর কোন ক্ষমতায় নেই এখনও তিনি সকলের জন্য কাজ করে চলেছেন। ২০১৯-এর পর অনেকেই বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুজিত দাস দল পরিবর্তন করেননি।

নৈহাটি হোক কিংবা কল্যাণী। সেই সময় এসব অঞ্চলের যারা আক্রান্ত হয়েছিল তাদের তিনি নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন।

২০১৯-এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কাঁচরাপাড়ায় এসেছিলেন সেই সময় মূল ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সুজিত দাসকে। যাদেরকে তিনি দলে এনেছিলেন তারাই এখন সুজিত বাবুকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন। এবার তিনি টিকিটের দাবিদার ছিলেন। কিন্তু দলের কিছু শীর্ষ নেতারা তাঁকে টিকিট দেয়নি। তাঁকে টিকিট দেওয়া হলে আজ যে দুর্নীতি হচ্ছে তা হয়তো হতো না। আজ যেমন রাজু সাহানি মুখ খুলছেন, তাঁর আগেই হয়তো মুখ খুলে দিতেন সুজিত দাস। কারণ তিনি কখনো কারোর সাথে আপোষ করেন না। এখনো তিনি কারোর তোয়াক্কা না করে একাই রাজনীতি করছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। যে কোন মিছিল মিটিংয়ে ডাকলে তিনি পৌঁছে যান।
তিনি দলের প্রচারের জন্য সবসময় এগিয়ে থাকেন। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি তিনি একটি গেট টুগেদারের। সেখানে উপস্থিত হন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সকলে মিলে চা-ঘুগনি খেলেন তাঁরা। পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন অসংখ্য তৃণমূল কর্মীরা।

সেখানে বেশকিছু মানুষ বীজপুরের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানালেন। সকলের অভিযোগ শুনে অর্জুন সিং বলেন,”আমি সর্বদা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা যখনই আমাকে ফোন করবেন তখনই পাবেন এবং যখন ডাকবেন তখনই আমি বীজপুরে চলে আসব। আমি পরিযায়ী পাখি না। এখন অনেক পরিযায়ী পাখি এসেছে। হয়তো তারা আজ আছে কাল চলে যাবে। কিন্তু আমরা মানুষের পাশে কর্মী হিসেবে সবসময় থাকব।”

পাশাপাশি তিনি এও বলেন,”তেঁতুল তলায় যে পুকুর ভরাট হয়েছিল সেটা আমি অবতক খবরের মাধ্যমেই জানতে পারি। পুকুর ভরাট নিয়ে যেভাবে অবতক খবর সরব হয়েছে,তাতে তাদের কুর্নিশ জানাই। সংবাদটি দেখার পরেই আমি ডিএম সাহেবকে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলাম।”

সেখানে উপস্থিত ছিলেন বীজপুরের লড়াকু নেত্রী আলোরানি সরকার,টোনি সিং, ছিলেন একাধিক মহিলা নেত্রী,ছিলেন কেষ্ট পাল,স্বাগতম দাস,সোমা দাস,অতনু রায় চৌধুরী, রাজা সরকার ( শুভেন্দু) ,বাঙালা, রঞ্জিত চৌধুরী, সামসুল হক, পম্পা মজুমদার সহ অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা‌।