অবতক খবর,১৩ নভেম্বরঃ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম্মুকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বর্ণবৈষম্যমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বাঁকুড়ার জঙ্গল মহল। এই ঘটনার জেরে রবিবার নিজের এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রানীবাঁধের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। এমনকি তিনি বিক্ষোভের মুখে নিজের গাড়ি ছেড়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালান বলেও খবর।

খবরে প্রকাশ, অখিল গিরির মন্তব্যের বিরোধীতা করে এদিন খাতড়া পাম্প মোড়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছিলেন আদিবাসী একতা মঞ্চের সদস্যরা। সেই সময় খাতড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ি করে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি যাওয়ার সময় তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ঐ সংগঠনের কর্মীরা। গাড়ি থেকে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হন। ফলে বাধ্য হয়েই নিজের গাড়ি ঐ জায়গাতেই রেখে তিনি রওনা হন বলে খবর।

পরে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি এবিষয়ে মন্তব্য না করলেও রাজ্য মন্ত্রীসভায় তাঁর সহকর্মী অখিল গিরির মন্তব্যের বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, ‘সম্মানীয় রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন তা আমি ব্যক্তিগতভাবে সমর্থণ করিনা। একই সঙ্গে ‘দলও সমর্থণ করেনা’ বলে তিনি মনে করেন। এছাড়াও ঐ বক্তব্যের সময় অখিল গিরির ‘বডি ল্যাঙ্গোয়েজ’ ভালো ছিলনা বলেও তিনি জানান। মন্ত্রী যখন বিক্ষোভের মুখে তখন খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মন্ত্রী জোৎস্না মান্ডি খোদ এসে ফোন কেড়ে নেয় এক সাংবাদিকের। তাহলে কি সংবাদ মাধ্যমও সুরক্ষিত নয়। কিভাবে রাজ্যের একজন মন্ত্রী এভাবে একজন সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নিতে পারে। যাদের গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় তাদের ভবিষ্যত কি। আক্রান্ত সাংবাদিক তন্ময় চৌধুরী আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘মন্ত্রীকে ঘিরে যখন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেই ছবি করতে গিয়ে মন্ত্রী নিজে গাড়ি থেকে নেমে আমার ফোন কেড়ে নেয়’।

প্রশ্ন শুধু একটাই এভাবেই কি সংবাদমাধ্যমকে বারবার হেনস্থার শিকার হতে হবে??