অবতক খবর,২৯ মে: উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাত পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের ঘটনা, অভিযোগ জগদীশচন্দ্র নামের এক ব্যক্তি ২০০২ সালে জমি টি কেনেন তারপর তিনি এক মহিলাকে সেই জমিতে থাকতে দেন , ২০২২ সালে সেই মহিলা সুজিত মন্ডল নামে এক ব্যক্তি কে স্বামী সাজিয়ে কিছু মস্তান দের সঙ্গে নিয়ে সেই জমি জগদীশ বাবুর অজান্তেই দখল করে নেয়।

জগদীশবাবু জানতে পারায় স্থানীয় থানায় FIR করার পর পুলিশ আধিকারিকরা এসে ভেরিফিকেশন করেন। শুধু তাই নয়, আদালতের দ্বারস্থও হন। কিন্তু জগদীশবাবুর অভিযোগ, তিনি সুরক্ষিত নন। এই জমি তার হওয়া সত্বেও তাঁকে ধমকাচ্ছে তাঁর বিরোধী পক্ষ। কালবিলম্ব না করে এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়ে জগদীশবাবু শরণাপন্ন হন ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমীর কুন্ডুর কাছেও। তবে জমির কাগজপত্র খতিয়ে না দেখার অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও। কাউন্সিলর জগদীশবাবুকে জানান, তিনি কোনো তৃতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। জমির কাগজপত্রের বদলে কাউন্সিলর যখন জগদীশবাবুর কাছে FIR-এর কাগজপত্র চান, তখন জগদীশবাবু তা দিতে চাননি। যার জেরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা দু’জন। জগদীশবাবুর বক্তব্য, “আমি যাদের বিরুদ্ধে জমি নেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় কেস করেছি, তাদের দিয়ে আমার জমিতে দেওয়াল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে শাসক দলের মদতে।”

এছাড়াও জগদীশ বাবু আরও জানান যে সুজিত মন্ডল বার বার শাসক দলের ক্ষমতা দেখায় এবং তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা র নাম নিয়ে তাকে হুমকি দিতে থাকে এবং তাকে বারাসাত পৌরসভা দেওয়াল তোলার অনুমতি দিয়েছে বলেও দাবি সুজিত মন্ডল এর । এ বিষয়ে শাসক দলের কাউন্সিলর এর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি ও একই কথা জানান যে “পৌরসভা অনুমতি দিয়েছে”, তিনি কিছু জানেন না । এই জমি সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে । এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে জমি টি কার সেটা আদালতে বিচার না হওয়া সত্ত্বেও কি করে পৌরসভা দেওয়াল তোলার অনুমতি দেয়?