অবতক খবর,২৮ জানুয়ারিঃ বাড়ি থেকে ৮০০ মিটার দূরে গলার নলি কাটা অবস্থায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার বৃদ্ধ দিন মজুরের, নৃশংস হত্যা-কাণ্ডে হতবাক এলাকাবাসী, খুনের কারণ নিয়ে তৈরি ধোঁয়াশা, আইসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী, ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।

গলার নলী কেটে হাড়হিম করা হত্যাকান্ড। বাড়ি থেকে ৮০০ মিটার দূরে বৃদ্ধ দিনমজুর কে খুন করে ফেলে রাখা হলো ভুট্টার জমিতে। উদ্ধার বিবস্ত্র দেহ। সকালে গ্রামবাসীর নজরে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সারা এলাকায়। আইসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে দুইজনকে। এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকলো মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বস্তা গ্রাম। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী পেশায় দিনমজুর ইসু মন্ডলের নলিকাটা বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে ৮০০ মিটার দূরত্বে একটি ভুট্টার জমিতে। ইসু মন্ডলের পাঁচ ছেলে ভিন রাজ্যে কর্মরত। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। স্ত্রী সরলিয়া মন্ডলকে নিয়ে থাকত সে।

পরিবার সূত্রের খবর গতকাল রাতে প্রতিদিনের মতোই বেরিয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। সারা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।খবর পেয়েই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এক জন বৃদ্ধ গরিব দিনমজুর। তার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই। তাহলে কি কারনে এমন নৃশংস ভাবে খুন করা হলো তাকে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনো পর্যন্ত দুইজনকে আটক করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।

ইসু মন্ডলের স্ত্রী সরলিয়া মন্ডল বলেন,গতকাল রাত দশটা নাগাদ-প্রতিদিনের মতই বাইরে ঘুরছিল। আমি বাড়িতে আসতে বলি। বলে চলে আসবে কিন্তু আর আসলো না। গলার নলীকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। কারা খুন করল কেন খুন করল কিছু জানি না। কিন্তু যারা করেছে তাদের যাতে শাস্তি হয়।

ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাসুমা বিবির স্বামী আবুল কালাম আজাদ বলেন, খুনের ঘটনা শুনতে পেয়ে আমি এসেছি। এরা সাধারণ গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। সাধারণত এদের সেই ভাবে কোন শত্রু থাকার কথা না। কিন্তু তারপরও কারা বা কেন খুন করল সেটা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ তদন্ত করলেই সমগ্র ঘটনা সামনে আসবে।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদুত গজমের বলেন, সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনই কিছু বলা যাবে না।

পরিবার বা এলাকা সূত্রে জানা যাচ্ছে ইসু মন্ডলের সঙ্গে কারোর সেই ভাবে কোন বিবাদ ছিল না। সাধারণ গরিব খেটে খাওয়া পরিবার ফলে শত্রু থাকার কথা নয়। রাজনীতির সঙ্গেও তিনি জড়িত নন। তাহলে কেন এরকম নৃশংস ভাবে মারা হলো তাকে? কি কারন রয়েছে পেছনে? সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।