অবতক খবর,১০ অক্টোবর: বীজপুরের বিখ্যাত পুজো বাগমোড় ত্রিপর্ণ সংস্থার পুজো। ইতিমধ্যেই চতুর্থীর দিন মহাসমারোহে এই পুজোর উদ্বোধন হয়ে গেছে। কিন্তু আজ পঞ্চমীর দিনেই ঘটলো অবাক করা কান্ড!

পঞ্চমীর সন্ধ্যা থেকেই এই পুজো প্যান্ডেল দেখার জন্য উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। তবে এই প্যান্ডেলটা এতটাই উঁচু করা হয়েছে যে ঠাকুর দেখতে গেলে মানুষকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। এদিকে কোভিড নিয়মানুযায়ী প্যান্ডেলের ভেতর দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই কারণে এই পুজোর কর্ণধার প্রবীর সরকার নিজেই বিষয়টি দেখছিলেন এবং দর্শনার্থীদের পুজো প্যান্ডেলের ভিতরে প্রবেশ করতে বাঁধা দিচ্ছিলেন। সেখানে মোতায়েন ছিল বীজপুর পুলিশ প্রশাসন।

দর্শনার্থীরা অভিযোগ করেন, প্যান্ডেলের ভিতরে ঢুকে প্রতিমা দর্শন না করতে দিলে বাইরে থেকে প্রতিমা দর্শন কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারণ প্যান্ডেলটি যথেষ্ট উঁচু।

অন্যদিকে প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে দর্শনার্থীরা ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারা বলেন, প্রতিমা যদি দর্শন না করতে পারি, তবে প্যান্ডেল এত উঁচু করা হয়েছে কেন? আর এত ঢাকঢোল পিটিয়ে এই পুজো উদ্বোধনেরই বা কি দরকার ছিল?

এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি স্বয়ং প্রবীর সরকারও।

হালিশহর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা ত্রিপর্ণর কর্ণধার প্রবীর সরকার আজ পঞ্চমীর দিন পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, কোভিদ বিধি অনুযায়ী নির্দেশ জারি রয়েছে পুজো প্যান্ডেল এর ভিতরে দর্শনার্থীদের ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এদিকে দর্শনার্থীরাও ক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সেই কারণে তিনি আজ থেকে এই পুজোর দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন। আজ থেকে এই পুজোর সমস্ত দায়িত্ব বীজপুর পুলিশ প্রশাসনের।

তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, এই প্যান্ডেলটা এত উঁচু করা হলো কেন?

এই নিয়ে আজ বাগমোড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে সেই মুহূর্তেই প্রবীর সরকার সমস্ত আলো নিভিয়ে সেখান থেকে চলে যান এবং জানিয়ে যান যে, তিনি এবং তাঁর কোনো সদস্য এই পুজোর সঙ্গে আর যুক্ত থাকবে না।

এখন বিষয়টি বীজপুর পুলিশ প্রশাসন দেখছেন। আরও বিস্তারিত আসছে, চোখ রাখুন অবতক খবরে…