অবতক খবর , সংবাদদাতা,হাওড়া:: হাওড়া জগাছা সাঁতরাগাছি এলাকার চুরি ছিনতাইয়ের প্রধান দুই ভিলেনের গাড়ি ধাওয়া করে হাতেনাতে গতরাতে ধরে ফেললেন সাঁতরাগাছির হিরো সৌমিক মুখার্জি ৷যদিও তাড়া করে দুষ্কৃতীদের কে ধরতে গিয়ে নিজেও গুরুতর আহত হন সৌমিক । একজন পালাতে সক্ষম হলেও অপরজন আর পালাতে পারেনি। পরে এই দুষ্কৃতীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তুলে দেওয়া হয় সেই চুরির গাড়িটিও।

জানা গেছে গত দুমাস ধরে এলাকায় ব্যাপকভাবে মোবাইল চুরি ছিনতাই ও গাড়ি চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছিল। হাঁসফাঁস করছিলেন সাঁতরাগাছির মানুষ । রবিবার সকালে সাঁতরাগাছি সামনে থেকে একটি স্কুটি চুরি হয়ে যায় পরে সেই স্কুটি করেই নাকি একজন বাচ্চাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। পড়ে মানুষের ধাওয়া খেয়ে বাচ্চার ছেড়ে পালায়। তবে এলাকায় আরো চারটি মোবাইল ছিনতাই হয়। একের পর এক ঘটে যাওয়া এই ধরনের ঘটনায় ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন এলাকাবাসীরা।

রবিবার রাত আটটা নাগাদ ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসের সামনে থেকে বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন সৌমিক মুখার্জি।হঠাৎ তিনি দেখতে পান একটি টোটো গাড়ি থেকে একজন যুবক চিৎকার করছে, চোর চোর চোর বলে চিৎকার করে চলেছে। আর সামনে থেকে একটি স্কুটিতে দুটো যুবক তাড়াহুড়ো করে ব্যাপক গতিতে পালিয়ে যাচ্ছে।

খানিকের জন্যে ভাবেন সৌমিক মুখার্জি । পড়ে দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে তাদের পিছু নেন তিনি। অন্যদিকে টোটো গাড়ি করে যারা তাড়া করছিল তারা অনেক দূর থেকে যায় কিন্তু সৌমিক তার পেছন ছাড়েননি। অনেকদূর বেরিয়ে যাওয়ার পর 2 যুবক অনেকটাই রিলাক্স হয়ে যায়,আর তখনই গাড়ির সামনে থেকে ঘিরে ধরেন সৌমিক।

দুই বদমাশ বুঝতে পারে ধরার জন্য ছুটে আসছে, তারা পাল্টা সৌমিককে ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে । তাদের ফের পিছু নেন সৌমিক আর তার বুলেট গাড়ি করে তাড়া করে সজোরে তাদের স্কুটিতে ধাক্কা মারেন তিনি। দুইজন যুবক ছিটকে পড়ে যায়। তিনিও গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে যান কিন্তু উঠে আবার ধাওয়া করেন। গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় একজন কিন্তু আরেক জনকে ধরে ফেলেন তিনি।

এলাকাবাসীরাও দেখে ছুটে আসেন তার কাছে। ঘিরে ফেলা হয় পলাতক যুবককে মারমুখী হয়ে উঠে জনতা । তবে জনতার হাত থেকে বাঁচিয়ে তিনি পুলিশকে খবর দেন । ছুটে আসে জগাছার পুলিশ। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উদ্ধার হয় সেই স্কুটি ও তাদের কাছ থেকে চারটি ছিনতাই করা মোবাইল।

জগাছা পুলিশ তদন্তে নেমে তার সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে । তাদেরকে কোর্টে তোলা হয়। পুলিশ জানিয়েছে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া স্কুটি চুরির ছিল । শুধু তাই নয় তারা আর কোথায় কোথায় ছিনতাই করেছে তাদের কাছে কতগুলো ছিনতাই মাল আছে সেগুলো তদন্তের জন্য পুলিশ 7 দিনের রিমান্ডে নিয়েছে, তদন্ত চলছে।

অন্যদিকে শমীক মুখার্জি এলাকার হয়ে উঠেছেন নায়ক। আর হবারই কথা ।যেভাবে তাড়া করে তিনি দুষ্কৃতীদের ধরে দিলেন সেটা একজন রিয়েল হিরোই করতে পারে তাই তার এই কাহিনী যত মানুষ শুনতে বা জানতে পারছেন তারা প্রত্যেকেই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।