নরেশ ভকত :: অবতক খবর :: বাঁকুড়া :: কথিত আছে এই মুড়িমেলা আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে শুরু হয়েছে। বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার দারকেশ্বরের চরের মুড়ি মেলা। এই মেলা মুড়ি খাওয়ার মেলা।

বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার দারকেশ্বর নদীর বালির চরে মুড়ি মেলার আসর বসে।শুধু বাঁকুড়া জেলা নয় পাশাপাশি অন্য জেলা থেকেও মানুষ এই মুড়ি মেলায় এসে আনন্দ উপভোগ করেন।

কথিত আছে এক সাধু কেঞ্জাকুড়া গ্রামের কাছে দারকেশ্বর নদীর পাড়ের এক নিম গাছের নিচে এসে আশ্রয় নেন । সেখানেই ধ্যানে মগ্ন হয়ে সিদ্ধিলাভ করেন । পরবর্তীকালে এই সাধুর উদ্দেশ্যেই দারকেশ্বর নদীর চরে মা সঞ্জিবনী মাতার আশ্রম তৈরী হয়। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে ওই আশ্রমে নাম সংকীর্তনের আয়োজন হয়ে আসছে ।

সেই সংকীর্তন চলে মোট পাঁচ দিন। দূর দূরান্ত থেকে নাম সংকীর্তন শুনতে অসংখ্য ভক্তের ভিড় জমায়েত হয় এই সঞ্জীবনী মাতার মন্দিরে। সারা রাত ধরে চলে নাম সংকীর্তন। সকলে কীর্তন শুনে নিজেদের সঙ্গে আনা মুড়ি খেয়ে নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যেতেন ।

এখন অসংখ্য মানুষ পরিবারের সকলকে নিয়ে ছুটে আসেন সঞ্জিবনী মাতার আশ্রমের সংলগ্ন দারকেশ্বর নদীর চরে । সঙ্গে নিয়ে আসে মুড়ি , চপ , সিঙ্গাড়া , মিঠাই , জিলিপি , পেঁয়াজ ,শঁশা কাঁচালঙ্কা , চানাচুর নিয়ে এসে দারকেশ্বরের চরের বালিতে বসে মনের আনন্দে মুড়ি খান। আর মুড়ি খেতে খেতে চলে রীতিমতো আড্ডা , মেলা দেখা ।