অবতক খবর, ৯ এপ্রিলঃ পাপের ঘড়া আর কত পূর্ণ হলে এই গাঙ্গেয় উপত্যকা ধ্বংস হবে, নটরাজ রুদ্রমূর্তিতে নৃত্য করবে? আমাদের জীবনের অর্ধেক আকাশ নারীরা ভীত, আতঙ্কিত, সন্ত্রস্ত্র। তারা এই চৈত্র বেলায় প্রকাশ্যে পথে দণ্ডি কেটে চলে।

কবিতায় শব্দ সাজিয়েএই ঘটনাটির চিত্রকল্প কি হবে কোনো কবি জানেন কি?

দণ্ডি শব্দটা তো দণ্ড থেকেই এসেছে।

এরা আদিবাসী নারী।

এই দেশ তাদের। রাজনীতির ক্ষমতায়নে এই মাটির মানুষেরা রীতিমতো পর্যুদস্ত। কোন দোষে এদের দণ্ড? পরিবেশ যখন প্রতিকূল অভিযোজনের কারণে বহুরূপীরা রং পাল্টায়, পাল্টাতে হয়, না হলে তার বেঁচে থাকা, তার জীবন সংগ্রাম বড় কঠিন ও জটিল হয়ে পড়ে। আদিবাসী এই তিন নারী দল বদল করে বিজেপিতে চলে গিয়েছিল। পরে আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসে। ফুলে ভরে গেছে এই বঙ্গীয় প্রদেশ। দুই ফুল ছেড়ে তারা এক ফুলে এসেছে।

কামাইবাজ নেতারা একবার দুবার নয়, বার বার দল বদলু হতে পারে তাদের কোনদিনও দণ্ডপ্রাপ্ত দণ্ডী কাটতে দেখেনি বাংলার বায়ু, বাংলার জল।

দল ছাড়ার প্রায়শ্চিত্ত করতে এই তিনজন আদিবাসী রমণী বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে এক কিলোমিটার রাস্তা দণ্ডি কাটতে কাটতে তৃণমূল পার্টি অফিসে পৌঁছান।

তারা এত ভীত সন্ত্রস্ত যে তারা কোনো এক আম বাগানে লুকিয়ে পড়েছেন।

তারা সংবাদকর্মীদের কাছে কিছুতেই মুখ খুলতে চাইছেন না।

হে টাঁড়বারো! শাসকের অত্যাচারের হাত থেকে নিজের জাতিকে বাঁচাতে তুমি কী একবার সামনে এসে দাঁড়াবে না?