অবতক খবর,১৬ জুন,নদিয়া: বছর পনেরো আগে বিয়ে হয়েছিল। স্বামী ভিন রাজ্য শ্রমিকের কাজ করতেন। তবে সংসারে শান্তি ছিল না। বাড়ির বাইরে থাকলেও অশান্তি লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। আর সেই অশান্তির থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়ে ভয়ানক কাণ্ড ঘটালেন স্ত্রী। নিজের শরীরে আগুন লাগালেন তারপর জড়িয়ে ধরলেন স্বামীকে।

নদিয়া শক্তিনগরের ঘটনা। জখম স্বামীর নাম কৃষ্ণ সরকার। তাঁর স্ত্রী কাকলি সরকার। সরকার দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত্রি বারোটা নাগাদ। পরিবার সূত্রে খবর, ভিন রাজ্য থেকে কাজ সেরে কয়েক দিনের জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন কৃষ্ণ। তখনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। এরপর রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমোতে যান সকলে। পাশের ঘরে শুয়ে ছিল দুই সন্তান। অভিযোগ, আনুমানিক রাত্রি বারোটা নাগাদ ঘর বন্ধ করে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন তিনি। এরপর ঘুমন্ত স্বামীকে তুলে জড়িয়ে ধরেন তিনি। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছটফট করতে থাকেন দু’জনই।

পাশের ঘরে তখনও শুয়ে তাঁদের সন্তানরা। মা-বাবার চিৎকারে ছুটে চলে আসে তাঁরা। চিৎকার করে ডাকেন প্রতিবেশীদের। আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কাকলির। অন্যদিকে, কৃষ্ণকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কৃষ্ণবাবুর শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তেহট্ট থানার পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘আমরা রাত্রিবেলা চিৎকার শুনতে পাই। ছুটে এসে দেখি এই অবস্থা। ততক্ষণে জ্বলে গিয়েছে সমস্ত কিছু। কৃষ্ণ ছটফট করতে-করতে বলে ও নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে। পুড়িয়ে মারার আমাকে। ওদের সন্তানদের থেকে জানতে পারি দরজা বন্ধ অবস্থাতেই কাকলি নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছিল। যাতে দরজা খুলে বের হতে না পারে। কৃষ্ণ শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছে।’