অবতক খবর,২৮ ফেব্রুয়ারি,নদীয়া:- গতকাল রাজ্যের 108 টি পৌরসভা নির্বাচনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বুথ জ্যাম, ছাপ্পা রিগিং এর অভিযোগ এনেছে বিজেপি। যদিও বামপন্থীরা একই অভিযোগ এনে গতকাল এবং আজ বিভিন্ন পথসভা পথ অবরোধ শুরু করে দিয়েছে গতকাল থেকেই। তবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি গতকালই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আজ আঠাশে ফেব্রুয়ারি 12 ঘন্টা বাংলা বনধ পালন করার জন্য। সেই মত জেলার সর্বত্র কর্মী-সমর্থকরা স্থল জল এবং রেল পরিবহন যানবাহন বন্ধ করা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সকাল থেকেই। এর স্বপক্ষে নদীয়া জেলায় বেশ কিছু জায়গায় মিছিল সংঘটিত হয়।

পায়রাডাঙ্গা রেল অবরোধ, নবদ্বীপ কৃষ্ণনগর বেথুয়া চাপড়া কল্যাণী বিভিন্ন জায়গায় মিছিল সংঘটিত হয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দের উদ্যোগে। বেশ কিছুক্ষণের জন্য জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করা হয় শান্তিপুর রানাঘাটে। চাকদাতেও বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এর নেতৃত্বে বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি মিছিল পরিক্রমা করে এসে কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ করে চাকদহ চৌমাথায় জাতীয় সড়ক। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায় তা স্থায়ী হয়েছিল আধঘন্টার জন্য। অথচ সকাল 11 টায় নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ায় এসে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, “হঠাৎ করে ডাকা বন্ধ অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। অনুরোধ ধর্মঘটীদের কাছে আমার অনুরোধ বেলা 12 টায় বনধ প্রত্যাহার করে নিতে, প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেবেন। আপনারা অবরোধ প্রত্যাহার করেননিন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার স্কুল কলেজ, গতকালকে ভোটের ডিউটি করে আসা সরকারি কর্মচারী এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য।

বনধ প্রত্যাহারে সেই সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানালেও, দলীয় নির্দেশ অগ্রাহ্য করে জেলার বিভিন্ন জায়গায় দুপুর দুটো পর্যন্ত চলেছে বনধ চালু রাখার বিভিন্ন কর্মসূচি। প্রশ্ন উঠেছে উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তিন ঘন্টা সময়ের মধ্যেও কি দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে নির্দেশ পৌঁছয়নি? নাকি কর্মী সমর্থকদের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই দলের?