অবতক খবর,দক্ষিণ দিনাজপুর,বুনিয়াদপুর, ২৭ অক্টোবর: লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে বংশীহারী বিডিও অফিসে হয়রানির শিকার হলেন শতাধিক মহিলা। অন্যান্য দিনের মতো বুধবার বংশীহারী ভিডিও অফিসে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দূর-দূরান্ত থেকে মহিলা রা সকাল থেকে ভিড় জমায়। বেলা এগারটার পর এই প্রকল্পের কাগজপত্র দোতলায় জমা চলছিল। হঠাৎ করে বেলা এক টা পঁয়তাল্লিশ নাগাদ কাউন্টার টি বন্ধ হয়ে যায় । উপস্থিত মহিলাদের জানানো হয় আর কাগজপত্র এখানে জমা নেওয়া হবে না। কাগজ জমা না দিতে পারায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা মহিলারা অফিসের বাইরে এসে উত্তেজিত হয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

শেষে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। উল্লেখ্য দুয়ারে সরকার এ বংশীহারী ব্লক এর চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে কয়েক হাজার মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করেছিল। কাগজপত্রের জটিলতার কারণে অনেকের একাউন্টে টাকা ঢোকেনি। অনেকেই 500 টাকা একাউন্টে ঢোকার পর জাতিগত শংসাপত্র পেয়েছেন। 500 টাকা থেকে 1 হাজার টাকার ওই প্রকল্পের সুবিধা পেতে অনেকেই ব্লকে কাগজ পত্র নিয়ে ভিড় করেন।

অনেকেই নতুন করে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতেও আসেন । স্বাভাবিকভাবে এত সংখ্যক মহিলা একসাথে উপস্থিত হওয়ার কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এলাহাবাদ জিপির চিত্রাহার গ্রামের লক্ষী বর্মন , পার্বতী দাস, ব্রজবল্লভপুর জিপির শিপ্রা সরকার ও গাংগুরিয়া জিপির বাজে কানূরের সিঙ্গা কিস্কু, পাতানি রায় অবশেষে এ বিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গণেশ প্রসাদের দ্বারস্থ হন। তিনি উত্তেজিত মহিলাদের শান্ত করেন। এ দিনের মতো একটি লেটার বক্সে তাদের কাগজপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আগামী দিন থেকে ব্লকে একসঙ্গে জমায়েত না করে প্রত্যেক জিপিতে প্রধানের কাছে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের কাগজপত্র জমা করার ব্যবস্থা করেন।