ফের রেলে যাত্রী নিগ্রহের অভিযোগ উঠল নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে

অবতক খবর,১৭ আগস্টঃ ফের যাত্রী নিগ্রহের অভিযোগ উঠল নদীয়ার নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা যায় বুধবার আনুমানিক সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটে মানিক দেবনাথ ও তার পরিবারের পাঁচ জন সদস্য বালুরঘাট এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। এরপর নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে ট্রেন থামলে পড়ে মানিক দেবনাথ তার ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মা সহ তার পরিবারের সদস্যরা নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের বাইরে বের হতে গেলে তাদেরকে আটকায় এবং টিকিট দেখাতে বলে। তখনই জানা যায় ৬ টি টিকিটের মধ্যে একটি টিকিট লোকাল ট্রেনের টিকিট।

প্রতিটি টিকিটের সিরিয়াল নাম্বার পর পর এক থাকা সত্ত্বেও একটি টিকিট লোকাল ট্রেনের টিকিট দিয়েছে হাওড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে বলে জানান মানিক বাবু। মানিক বাবু ও তার ছেলের অভিযোগ তাদের সাথে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মহিলা থাকা সত্ত্বেও অত্যন্ত নির্দয়ভাবে টিকিট পরীক্ষক তাদেরকে হেনস্থা করে। বয়স্ক বৃদ্ধা মহিলাকে প্ল্যাটফর্মে রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখে বেশ কিছুক্ষণ সময়। এছাড়াও মানিক বাবু জানান টিকিট পরীক্ষককে তিনি বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেন হাওড়া স্টেশনে টিকিট কাউন্টার থেকে ভুলবশত ছটি এক্সপ্রেস টিকিটের জায়গায় পাঁচটি এক্সপ্রেস টিকিটের এবং একটি লোকাল ট্রেনের টিকিট দিয়েছে।

যদিও তিনি দাবি করেন কাউন্টারে ছটি এক্সপ্রেস টিকিটের টাকাই নেওয়া হয়েছে। এরপরেও ওই কর্তব্যরতর টিকিট পরীক্ষক তাদের কোন কথা শুনেন না । তাদের সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। ষাটোর্ধ্ব মানিক বাবু এবং ৮৫ বছর বয়সী তার বৃদ্ধা মাকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখে ওই টিকিট পরীক্ষক। এরপর ওই একটি লোকাল টিকিটের জন্য তাকে জরিমানা করেন ওই টিকিট পরীক্ষক।

মানিক বাবু জানান, দিনের পর দিন রেলের গাফিলতির জন্যে নিত্যযাত্রীদের এভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছে। হাতে মাত্র দশ মিনিট সময় থাকার কারণে হাওড়া স্টেশনে টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার পরে তাড়াহুড়োয় তিনি সব কটি টিকিট ঠিকমতো দেখে নিতে পারেন নি। রেলের গাফিলতির জন্য এর আগেও হেনস্তা হতে রয়েছে বহু মানুষকে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও রানাঘাট স্টেশনে এক অসুস্থ মহিলাকে টিকিট পরীক্ষকের হেনস্তার খবর উঠে এসেছিল শিরোনামে।

আবারও নিত্যযাত্রীদের হেনস্তার অভিযোগ উঠল নবদ্বীপ ধাম স্টেশনের কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও এ বিষয়ে নবদ্বীপ ধাম রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার ও রেল পুলিশের পক্ষ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।