অবতক খবর,সংবাদদাতা,চাঁচল,৪ জুন :: ফের দুঃসাহসী ডাকাতি মালদহের চাঁচলে। বৃদ্ধ দম্পতিকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বেধে রেখে তাণ্ডব চালালো ছয় জনের একটি ডাকাত দল। শুক্রবার ভোগীর রাতে চাঁচলের উওর বসন্তপুরের সাহা পাড়ার মনিন্দ্র সাহার বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা পুলিস আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল ও চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা চাঁচল এলাকা জুড়ে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশি নিরাপ্তা নিয়েও।

স্থানিয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মনিন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী বাড়িতে একাই থাকেন। ছেলে সেনাকর্মী চাকরি সূত্রে বাইরে থাকেন। শুক্রবার রাত্রি আনুমানিক দুটোর সময় ছয় জন সসস্ত্র ডাকাত দল বাড়ির সদর দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। বৃদ্ধ দম্পতিকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ। বাঁধা দিতে গেলে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে তাণ্ডব চালায় ডাকাত দল। বাড়ি থেকে ছয় ভরি স্বর্ণালংকার সহ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। চাঁচল মহকুমা পুলিস আধিকারিক শুভেন্দু মণ্ডল ও চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। অভিযানে নামে কিন্তু ডাকাত দলের কোন হদিস পাননি পুলিশ। তবে প্রশ্ন উঠছে চাঁচল সদর কিংবা পার্শ্ববর্তী এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে।

সম্প্রতি, কিছু দিন আগেই বাংলা বিহার সীমান্ত সংলগ্ন মহানন্দপুরে হিমাংশু সাহার বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তার কয়েক মাস আগেই চাঁচল সদরে একটি বাণিজ্যিক অনলাইন মার্কেটিং সংস্থায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যদিও পুলিশ দুটি ঘটনার কিনারা করলেও বারংবার দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।