অবতক খবর,৩ মার্চঃ তিন রাজ্যের ফলাফল-
যেমনটা আশা করা হয়েছিল বিজেপি জিতবে বিজেপি জিতেছে। তিন জায়গায় বিজেপির সরকার হবে। সারা দেশে বিজেপির বিকল্প কেউ নেই। ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হলে সব জায়গায় বিজেপি জিতবে। পশ্চিমবঙ্গে হলে সেখানেও বিজেপি জিতবে।
সাগরদিঘিতে ফল খারাপ বিজেপির-
ইদানিং সব জায়গায় আমাদের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তার প্রভাব ওখানে পড়েছে। কে টিএমসিকে এখন হারাবে তার ট্রেন্ড চলছে। ওদের মনে হয়েছে বিজেপি পারবে না, কংগ্রেস পারবে তাই টিএমসির বিরুদ্ধে ওখানে ভোট হয়েছে।
মেঘালয়তে বিজেপির সঙ্গে জোটের পথে এনপিপি-
এনপিপি আমাদের পুরনো সঙ্গী। বিজেপি নিজের শক্তি পরীক্ষা করছিল। তাই আলাদা আলাদা লড়েছে সবাই।
একসঙ্গে লড়লে আরো বেশি সিট পেতো। নর্থ ইস্ট এ যতগুলো সরকার আছে সব আমাদের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে থাকলে আর্থিক সাহায্য পাবে। সাধারণ মানুষকে উন্নয়ন দিতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেই থাকতে হবে। এনপিপি তাই ঘোষণা করে দিয়েছে এখানে একসঙ্গে থাকবে।
অনুব্রত যাচ্ছেন তিহারে-
তখন ঠান্ডা ছিল কষ্ট হতো এখন গরম আছে দিল্লিতে। কষ্ট কম হবে। যত রকম ভাবে সম্ভব হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট করে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশকে দিয়ে কেস করিয়ে তাকে বীরভূমে নিয়ে রাখা হয়েছে। ওনাকে রেখে পঞ্চায়েত ভোট করানোর কথা ভাবা হয়েছিল, কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি এখন কোর্ট আদেশ দিয়েছে এবার তো তিহার জেলে যেতেই হবে। পেট থেকে বেরোবে এবার সব কিছু।
নওশাদ সিদ্দিকীর জামিন-
তাকে কেন ৪০ দিন আটকে রাখা হয়েছিল কেউ বুঝতে পারছে না কোর্টের কাছে এমন কোন প্রমাণ কেউ রাখতে পারেনি যে তিনি এমন কিছু ক্ষয় ক্ষতি করেছেন, হিংসা করেছেন। এটাও প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা প্রথম থেকেই নিন্দা করেছি। কোর্ট ও বলেছেন মাননীয় স্পিকারও বলেছেন এটা অবৈধ। যে ধরনের রাজনীতি চলছে তারই একটা ফল এবং এরই প্রতিশোধ মানুষ মুর্শিদাবাদে নিয়েছে।
অ্যাডিনো পরিস্থিতির অবনতি-
যখন করোনা এলো তখন করোনাকেও এভাবেই লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। যখন হাতের বাইরে গেল তখন এভাবেই ডেড বডি লুকানো হত, বিশেষ জ্বর বলা হত । তাতে মৃত্যু আটকানো যায়নি। এখানেও সরকার ইচ্ছাকৃত এটা করছে। এখনো বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসা উচিত, কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নেওয়া উচিত কিভাবে এটাকে আটকানো যায়। মায়েদের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে দুঃখজনক ঘটনা। জানিনা এই সরকার কতটা সিরিয়াস, বাচ্চা মহিলা এবং বয়স্কদের প্রথম প্রাধান্য দেওয়া উচিত কিন্তু এখানে তাতেই ফাঁকিবাজি চলছে।
বিশ্বভারতীর উপাচার্যের চিঠি ওয়েবসাইটে-
কি চলছে আমরা জানিনা, তবে রাজনীতি চলছিল। আমরা গিয়ে দেখেছি বিশ্বভারতীর মধ্যে বড় বড় পোস্টার অনুব্রত মণ্ডলের। আচার্য হিসেবে যখন প্রধানমন্ত্রী এসেছেন তখন বড় বড় পোস্টার লাগানো হয়েছে কেষ্টর। গেট ভাঙ্গা হয়েছে জমি দখল করা হয়েছে। সবাই এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাই কেউ প্রতিবাদ করেনি আজকে উপাচার্যকে এর প্রতিবাদ করতে হচ্ছে। বিশ্বভারতীর জমি দখল হয়ে গিয়ে সেখানে মেলা হচ্ছে বাজার হচ্ছে। যে গন্ডগোলগুলো চলছে সেটা সবাই জানতো কিন্তু কেউ হিম্মত করেনি প্রতিবাদ করেনি। আমার মনে হয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এটা ঠিক করা উচিত তার যে সেন্টিমেন্ট রয়েছে বিশ্বভারতীর সেটা যেন বজায় থাকে।