অবতক খবর,২১ অক্টোবরঃ আজ নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রতিদিনের মত এদিন পার্কে এসে একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি।

এপিসি ভবনের সামনে থেকে রাতে জোর করে তুলে দেওয়া হল টেট আন্দোলনকারীদের।

এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এ সরকার কাজও করবে না। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করতে দেবে না। আমরা যখন রাস্তায় নামি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চলে আসছে, গ্রেফতার করছে, সরিয়ে দিচ্ছে লাঠি পেটা করছে। যারা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছেন , চাকরির জন্য এত দিন আবেদন নিবেদন করেছেন এখন তারা অনশন করছেন তিন দিন ধরে রাস্তায় ছিলেন, তাদের নির্মম ভাবে ধাক্কা মেরে তুলে দিয়েছে। এই সরকার নিজে গণতন্ত্রের কথা বলে আর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই।”সল্টলেকে এ পি সি ভবনের সামনে টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি….

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা কোনও রাজনৈতিক দলকে ডাকেননি। নিজের অধিকারের জন্য অন্দোলন করছে, যেহেতু মানবিক ব্যাপার তাই আমাদের নেতারা গেছেন, অন্য পার্টির নেতারাও এসেছেন। এর মধ্যে রাজনীতির ব্যাপার নেই। যে পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন তারা যে ভাবে জীবনকে বাজি রেখেছেন সব পার্টির লোকেরা সমর্থন করতে এসেছেন। সকলের করা উচিত।”

আপার প্রাইমারির ইন্টারভিউ শুরু আজ থেকে….

তিনি বলেন, “ইন্টারভিউ, পরীক্ষা বহুবার হয়েছে। কিন্তু রেজাল্ট আসেনি। নিয়োগ হওয়া চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন আমার হাতে এত লক্ষ লক্ষ চাকরি আছে কিন্তু তার জন্য পরীক্ষা হয় না, পরীক্ষা হলে রেজাল্ট হয় না, নিয়োগ হয় না। নিয়োগপত্র নিয়ে ঘুরে বেরোতে হয়। কেন চাকরি দিচ্ছেন না? সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমিত করতে ইন্টারভিউ হচ্ছে। ইন্টারভিউ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খালি পদে নিয়োগ হওয়া উচিত।”

প্রাইমারি নিয়োগের আবেদন শুরু হচ্ছে…

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঠিক আছে। আমরা জানি এগুলো লোক দেখানোর ব্যাপার। কিন্তু তার পরিণাম কি হচ্ছে সেটা হওয়া চায়। যে স্কুলে শিক্ষক নেই বাচ্চারা যায় ঘুরে আসে সেখানে নিয়োগ হওয়া উচিত। শুধু স্কুল নয় সরকারি সমস্ত পদে কর্মচারীরা অবসর হচ্ছে, কিন্তু নতুন করে নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে অফিসে লোক নেই। তাদের দেনা পাওনা তৈরি হয়নি। আবার এদের নিয়ে কোথাও দুয়ারে সরকারে কাজে লাগানো হচ্ছে। দফতরের লোক নেই, খাতা তৈরি হচ্ছে না। কবে পেনশন পাবেন ঠিক নেই।”

টেট আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধী দল পথে নামছে…..

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানুষের প্রতি অত্যাচার চলছে, অপশাসন চলছে। তার বিরুদ্ধে সমস্ত দলের প্রতিবাদ করা উচিত।”

টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের এই আন্দোলনকে সামনে রেখে বিরোধীরা কি উজ্জীবিত হচ্ছে…

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আন্দোলন চলবে। সমস্ত বিষয় নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ। এমন কি তাদের পার্টির মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে কেউ কাওকে সহ্য করতে পারছে না। অসহিষ্ণু পরিবেশ কেন তৈরি হচ্ছে? সরকার বিফল হলে এমন পরিবেশ তৈরি হয়।”