অবতক খবর,১৫ ফেব্রুয়ারি,জ্যোতির্ময় মন্ডল পূর্ব বর্ধমানঃ প্রাচীন শতাব্দীর তিন দিনের গ্রাম্য বাৎসরিক শ্রী শ্রী মা দিদিঠাকরুন পূজাকে ঘিরে আনন্দ উৎসাহের সঙ্গে মেতে উঠলেন মন্তেশ্বর ব্লকের বড়জুগ্রাম , করন্দা সহ এলাকার তিন চারটি গ্রামের মানুষজনেরা। বড়জুগ্রামের বাসিন্দা তথা পূজা পরিচালন কমিটির প্রধান উদ্যোক্তা অমল গোস্বামী ও করন্দা গ্রামের এক গৃহবধূ কৃষ্ণাকুন্ডু জানান বড়জুগ্রামের এস ,সি, সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষের মানুষজনদের স্বপ্নাআদেশে মাঠের মধ্যে অশ্বর্থ গাছের মধ্যে দিয়ে মা দিদিঠাকরুন পূজিত হয় । ফাল্গুন মাসের প্রথম মঙ্গলবার প্রতিবছর সেই মঙ্গলবারে প্রাচীন শতাব্দীর তিনদিনের

এই মা দিদিঠাকুরুনের পূজা অনুষ্ঠিত হয় বড়জু গ্রামের মাঠের দিদিঠাককরুন মন্দিরে।

গত দুই বছর করোনার প্রভাবে পূজা সেইভাবে না হওয়ায়, এই বছর আনন্দে উৎসাহের সঙ্গে পূজা শুরু হয় । এই পুজোকে ঘিরে পূজা প্রাঙ্গনে বসেছে মেলা , ও বড়জুগ্রাম, করন্দা সহ এলাকার দুই তিনটি গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ভরে উঠেছে। পূজা দুই তিন দিনের হলেও চলবে চার পাঁচ দিন। প্রত্যেকদিন আলাদা আলাদা ভাবে

যাত্রাপালা, বাউল গান, অর্কেস্ট্রা সহ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ৩-৪ দিন ধরে এই পূজায় নানান সংস্কৃতি অনুষ্ঠান হবে। মেলায়

বাচ্চাদের নানান রকম অনেক খেলাধুলার জন্য দোকান , খাবারের দোকান বসেছে। উদ্যোক্তারা আরো জানান পূজায় লোকসমাগম হয় প্রচুর । এই পূজার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল দূর দূরান্ত সহ এলাকার বহু গ্রামের উপসী মহিলারা উপোস করে পুজো তলায় এসে বিকালে দিদি ঠকরুনের পূজা শেষ হলে সেই

পূজার প্রসাদ গ্রহণ করে পূজা প্রাঙ্গণ বসে মুড়ি ও চিরে ভিজিয়ে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি যান। অনেক মানুষের মনস্কামনার জন্য দিদি ঠাকুরুনের গাছে ইটদিয়ে বাছা বাঁধেন। অনেক মানুষের মনস্কামনা পূর্ণ হলে দিদিঠাকরুনের পুকুর থেকে স্নান করে দন্ডীখাটেন। অনেকে ধুনাপুরান।