অবতক খবর,২১ আগস্ট,কাকদ্বীপ: প্রথমে ১১ জনকে উদ্ধারের পর আরও কয়েক দফায় রবিবার ভোর রাত পর্যন্ত মোট ৪৪ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয় ভারতীয় মৎস্যজীবী ট্রলারের মাধ্যমে। তাঁদের উদ্ধার করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা এলাকার সীতারামপুরে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের তরফে তাঁদের নিকটবর্তী কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিম্নচাপ এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে সমুদ্র বেশ উত্তাল ছিল।

এই পরিস্থিতির মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়েছিল বাংলাদেশী মৎস্যজীবীদের বেশ কয়েকটি ট্রলার । তারপর ভারতীয় মৎস্যজীবী ট্রলারের মধ্যে দফায় দফায় তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশি ট্রলার বাবা মার দয়া, ভাই-বোন ও শুভ সকাল এই তিনটি ট্রলার থেকে প্রায় ৪৪ জন মৎস্যজীবীকে নিরাপদে উদ্ধার করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ও বিভিন্ন মৎস্যজীবী ট্রলার। বাংলাদেশের সকল মৎস্যজীবী সুস্থ ও নিরাপদে রয়েছে। সতীনাথ পাত্র সুন্দরবন মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ট্রলার। ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল ঢেউয়ের দাপটে বহু ট্রলার উল্টে গিয়েছে। উত্তাল দেওয়ার কারণে বাংলাদেশী মৎস্যজীবীরা সাঁতার কাটতে কাটতে ভারতীয় জলসীমা নেয় ঢুকে পড়ে ছিল। বাংলাদেশি ট্রলারে বেশ কিছু মৎস্যজীবীকে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় মৎস্যজীবী ট্রলার গুলি উদ্ধার করেছে। সকলেই সুস্থ রয়েছে। দ্রুত তাদেরকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।উদ্ধার হওয়া এক বাংলাদেশি মৎস্যজীবী জানিয়েছেন,আমাদের বোট আটকে গিয়েছিল।

ঘটনাটি ঘটেছিল তিনটের সময়। ওই বোটটিতে ১১ জন ছিলেন। বাড়ির জন্য চিন্তা হচ্ছে। কীভাবে যাব সেটাই ভাবছি। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, এখনো বেশ কিছু বাংলাদেশি ট্রলারের মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের উদ্ধারে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী ও বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার অভিযানের নেমেছে।