অবতক খবর,৩১ মার্চ: পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দল তৃণমূল দল। সব বৃক্ষেরই এখন একটাই মূল,সব বৃক্ষ হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার সঙ্গে যে সংস্কৃতি জড়িত থাকে এটা কে না জানে! বীজপুরে এত শিক্ষিত তৃণমূল কর্মী রয়েছেন, শিক্ষার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক-শিক্ষিকারা রয়েছেন, অথচ বাংলা ভাষার প্রতি তাদের এত অশ্রদ্ধা কেন?

আজ কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি জাত পেট্রোল ডিজেলের দর বৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের দর বৃদ্ধি,তার বিরুদ্ধে বীজপুর তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সংগঠন একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে। কাঁচরাপাড়া মিলননগর থেকে হালিশহর পর্যন্ত এই বিশাল মিছিল প্রতিবাদ জানিয়ে, স্লোগান তুলে জনপ্রচারের সম্মুখীন হয়। তাদের সামনে ছিল একটি বিশাল ব্যানার। সেই বিশাল ব্যানার নিশ্চিত মানুষের নজরে এসেছে। ‌সেখানে প্রতিবাদ এতই জোরালো যে তারা ব্যানারটির দিকে দৃষ্টিপাত পর্যন্ত করেননি। ‘বীজপুর’কে লেখা হয়েছে ‘বিচপুর’ । এটা কি ধরনের অশ্রদ্ধা বাংলা ভাষার প্রতি? ‘অত্যধিক’ বানানটিতে লেখা হয়েছে ‘অত্যাধিক’।

 

আমাদের প্রশ্ন, সাংস্কৃতিক চেতনা সম্পন্ন মানুষ ছাড়া কি রাজনৈতিক কর্মী হতে পারেন? তারা রাজনীতি করবেন, প্রতিবাদ জানাবেন কিন্তু বাংলা ভাষাটিকে মর্যাদা দেবেন না? আজ শতশত মানুষ যে এই ব্যানারটি দেখলেন,তাদের মধ্যে এই রাজনৈতিক দলটি সম্পর্কে কী ধারণা হল,তারা কি উপলব্ধি করতে পারছেন? এখন রাজনীতি তো নয়, দলবাজিই বড় সেখানে শিক্ষা-সংস্কৃতি সবই গোল্লায় গিয়েছে।