প্রতিবাদের পদ্ধতিতে পথ দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ 

অবতক খবর,২১ আগস্টঃ রাজ্য জুড়ে শিক্ষা স্বাস্থ্য বিভিন্ন দপ্তরে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এক মন্ত্রী ও এক দাপুটে শাসক নেতা গ্রেপ্তার হয়ে গিয়েছেন। ‌ সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদপত্র সূত্রে দেখা যাচ্ছে যে,প্রায় ১১ বছর ধরে এই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লুটেরাদের হাতে চলে গিয়েছে। যে যেখানে যেভাবে পেরেছে কামাই বাজি করেছে। রাজ্যের ভবিষ্যতের দিকে তারা বিন্দুমাত্র নজর দেয়নি।

এই প্রশাসন যে কল্যাণগামী নয় তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। নবপ্রজন্মের শিক্ষিত হাজার হাজার যুবক চাকরির দাবিতে এখনো ঐতিহাসিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ‌ স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে এটি একটি শতাব্দীর স্মরণীয় ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অগ্রগমনকে রুদ্ধ করে দিয়েছে এই রাজ্য প্রশাসন। প্রজন্মের প্রতি তাদের যে বিন্দুমাত্র স্নেহ মায়া দয়া মমতা নেই তারও প্রমাণ রেখেছে এই প্রশাসন।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ‌ সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে অবৈধভাবে স্কুলে স্কুলে নিয়োগ হয়েছে তা তো আদালতই বলছে।

এদিকে ক্ষুব্ধ মানুষ। চাপা ক্ষোভ তাদের রয়েছে। ইতিমধ্যেই তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন এক ভদ্রমহিলা মন্ত্রীর দিকে চটি ছোঁড়ার মাধ্যমে। আর এক মহিলা ছুঁড়ে দিয়েছেন জুতো অর্থাৎ চটি থেকে প্রতিবাদ ক্রমাগত জুতোর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এদিকে স্লোগান শোনা যাচ্ছে গরু চোর! গরু চোর! পশ্চিমবঙ্গের আকাশ বাতাসে এখন এই স্লোগানে ভরপুর।

দেখা যাচ্ছে দুর্নীতিগ্রস্ত অভিযুক্ত যে সমস্ত নেতারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মুখোশ পরে প্রতিবাদী মিছিল চলছে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ প্রতিবাদের ক্ষেত্রে অন্য ধারা নিয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে চটি, জুতো, গরু চোর স্লোগান এবং দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মুখোশ। ‌