অবতক খবর,৮ জুন: স্নায়ু রোগে দুই পা প্রায় অচল হয়ে থাকা সত্ত্বেও তমলুকের তিস্তা প্রধান মাধ্যমিকে ৬০৯ নম্বর পেয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমস্ত শ্রেণীর মানুষের নজর কেড়েছে তিস্তা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি তাদের লড়াই চলছে দারিদ্র্যতার সঙ্গেও। তবুও হার মানতে নারাজ তমলুকের শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শান্তিপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিত্রা গ্রামে বাড়ি তিস্তাদের।

স্থানীয় দাঁড়িয়ালা সিন্ধুরাণী শিক্ষা সদন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। বাড়িতে বাবা-মা বোন ঠাকুরমা মিলিয়ে পাঁচজনের বাস। বাবা শুভেন্দু প্রধান ডাক বিভাগের স্বল্প সঞ্চয় এজেন্ট। মা টগরী দাস টেলারিং-এর কাজ করেন। দুজনের আয়ে কোনরকমে সংসার চলে।

ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রথমে পিঠের নিচে কোমরে যন্ত্রনা হতে শুরু করে। তিস্তার চিকিৎসা প্রথমে তমলুক শহরে, পরে কলকাতার বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট নিউরোসায়েন্সে হচ্ছে। সেখানেই পরীক্ষায় তিস্তার ঘটিত সমস্যা ধরা পড়ে।

দীর্ঘ চার বছর এভাবেই চিকিৎসা হওয়ার পরেও জীবনের প্রথম পরীক্ষা মাধ্যমিকে যথেষ্ট এ সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ায় খুশি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সকলেই।