অবতক খবর,২৬ নভেম্বরঃ কার্যত ভাবে ভেস্তে গেল পৌষ মেলা নিয়ে ডাকা বৈঠক। স্বাভাবিকভাবেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও জেলা শাসক অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ফোন ধরার সৌজন্য বোধ করেননি। অবমাননা করলেন উপাচার্য। ফলে এখনও অনিশ্চিত ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা।

ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা নিয়ে এদিন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে বৈঠক ডেকেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই মত যথা সময়ে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্প মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা শাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার, এসডিপিও, বোলপুর পৌর কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ দপ্তর, শ্রীনিকেতন-শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকেরা৷ বিশ্বভারতীর তরফে ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা৷

জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, এই কারন দেখিয়ে পূর্বপল্লীতে নিজ বাসভবন পূর্বিতা থেকে বৈঠক যোগ দিতে আসছিলেন না উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁকে বৈঠকে আবার জন্য যান বোলপুর থানার আইসি ও শান্তিনিকেতন থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ৷ তাও তিনি আসতে চাননি।

তাই প্রায় ৪৫ মিটিন অপেক্ষা করে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যান মন্ত্রী সহ জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা৷ বাইরে এসে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী ও জেলা শাসক। ফলে এখনও কার্যত অনিশ্চিত ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা।

মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “উনি চান না পৌষমেলা করতে৷ তাই এই রকম আচরণ করলেন৷ আমরা প্রায় ১ ঘন্টা অপেক্ষা করেছি। উনি বৈঠক ডেকেও এমন আচরণ করলেন। এখনও ওনার যদি শুভবুদ্ধি হয়, মেলা করতে চান আমরা সহযোগিতা করব।”

জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “এটা যে অবমাননা তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ মন্ত্রী, আমি, জেলা পুলিশ আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকতেও উনি নাকি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এমনকি, উনি ফোন ধরার সৌজন্য বোধ করেননি। এটা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। আমরা অত্যন্ত হতাশ৷ পুরো বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে৷ তবে মেলা হবে, বিশ্বভারতী না করলে, গত বছরের মত ডাকবাংলো মাঠে মেলা হবে।”