অবতক খবর,২ জানুয়ারি,বাঁকুড়াঃ- চার বছর আগে পৌরসভায় টাকা জমা দিয়েও মেলেনি পানীয় জলের ট্যাপ কল পৌরসভা ভোটের আগে ট্যাপ কল না পেলে আগামী পৌরসভায় ভোটই দেব না হুঁশিয়ারি পুরবাসীদের , টাকা ভুতে খেয়েছে দাবি বিজেপির, বঙ্গে কাটমানির রাজত্ব চলছে বলছেন কংগ্রেস, টাকা শেষ তবে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বাকি কাজটুকুও হবে সাফাই প্রশাসকের ।

তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর 2012 সালে বাঁকুড়া জেলা এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া জেলার চৌদ্দটি ব্লকে সজল ধারা প্রকল্পের শিলান্যাস করে গিয়েছিলেন সেইমতো বিষ্ণুপুর পৌরসভার শুরু হয়েছিল সজল ধারা প্রকল্প । কিন্তু প্রতিবারই ভোট আসে ভোট যায়, ভোটের সময় মেলে আশ্বাস! ব্যাস ঐ পর্যন্তই।

পানীয় জলের সমস্যার হয়নি সমাধান। এমনটাই অভিযোগ দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে তৃণমূলের হাতে থাকা বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১৯ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জলের লাইন নেওয়ার জন্য গত চার বছর আগে পৌরসভায় ‘টাকা জমা’ দিলেও আজও তাঁরা তা পাননি। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা । এই অবস্থায় বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ না পেলে আসন্ন পৌরভোটে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন ঐ এলাকার মানুষ । আর যা নিয়ে বিরোধী বিজেপি-কংগ্রেসের সঙ্গে শাসক দলের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়েছে ।

বিজেপির বিষ্ণুপুর নগর মণ্ডল সভাপতি উত্তম সরকারের বলেন, পৌরবাসীর জমা দেওয়া টাকা ‘ভূতে খেয়েছে’। দু’বছর ভোট হয়নি। প্রশাসক দিয়ে পৌরসভা চলে নাকি প্রশ্ন তুলে ‘নাগরীক পরিষেবা স্তব্ধ’ বলে তিনি অভিযোগ করেন।

প্রদেশ কংগ্রেসে সম্পাদক দেবু চ্যাটার্জীর দাবি এরাজ্যে কাটমানি রাজ চলছে। মানুষের উন্নয়নের কাজ না করে কাটমানির ভাগাভাগিতেই ব্যস্ত শাসক শিবির বলে তিনি দাবি করেন।

বিষ্ণুপুর পৌরসভার বর্তমান ‘প্রশাসক’ অর্চিতা বিদের দাবি ইচ্ছাকৃতভাবে ঐ কাজ করা হয়নি এমন কোন ব্যাপার নয়। যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তার কাজ শেষ হয়েছে। রাজ্য সরকারের সহযোগীতায় বাকি কাজ টুকুও শেষ হবে বলে তিনি জানান।