অবতক খবর,১৪ ডিসেম্বর,পূর্ব মেদিনীপুর দিঘা:- সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্রের জন্য দিঘা সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। শীতের মিঠে রোদে সমুদ্র সৈকতে পরিজন, প্রিয়জন বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে চান না এমন বাঙ্গালী পাওয়া মুশকিল। তবে সমুদ্র সৈকতে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আনন্দ করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকুন। কারণ সম্প্রতি অতীতে দিঘা সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ে ভেসে এসেছে ইয়োলো বেলিড, নানান ধরনের সামুদ্রিক মাছ সহ জেলিফিশ।

জেলিফিশ সাধারণত সমুদ্রের জলে লবনের পরিমাণ বেড়ে গেলে সমুদ্র সৈকতের দিকে ভেসে আসে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলিফিশ একধরনের অমেরুদন্ডী প্রাণী। নামের শেষে ফিশ থাকলেও আদতেও মাছ গোত্রের না। জেলিফিশ সমুদ্রের পাশাপাশি মিষ্টি জলের হ্রদ বা পুকুরেও পাওয়া যায়। জেলিফিশের আয়ু কাল কম। কিন্তু দ্রুত বংশ বিস্তার করতে পারে। বর্তমানে সারাবিশ্বে বিজ্ঞানীরা প্রায় ২ হাজার প্রজাতির জেলিফিশ সনাক্ত করতে পেরেছেন। সমুদ্রের জলে লবণাক্তের পরিমাণ বেড়ে গেলে জেলিফিশ সমুদ্র সৈকতের দিকে ভেসে আসে। বর্তমানে জেলিফিশের বাণিজ্যিক ব্যবহার বেড়েছে। সম্প্রতি দিঘা সমুদ্র সৈকতে একটি জেলিফিশ দেখতে পাওয়া যায়। সমুদ্র সৈকতে জেলিফিশ দেখতে পেলে ছুঁয়েও দেখবেন না। তাহলে আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারাত্মক রোগ। কি রোগ বাসা বাঁধতে পারে জেলিফিশ থেকে? চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জেলিফিশের শরীরে এক ধরনের টক্সিন থাকে। যা মানুষের সংস্পর্শে এলে মানুষের ত্বকে এক ধরনের স্কিন ডিজিজ তৈরি হয়। মানুষের ত্বক লাল হয়ে যায়। ত্বক ফুলে যায় এবং চুলকুনি শুরু হয়। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের অভিমত কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই চুলকুনি সারা জীবনের জন্য থেকে যায়। নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতিতে জেলিফিশের সংস্পর্শে তৈরি হওয়া স্কিন ডিজিজ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সাধারণত জেলিফিশ নিরীহ দেখতে হলেও, জেলিফিশ থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। জেলিফিশ ছুঁয়ে দেখলে আপনার জন্য মারাত্মক বিপদ অপেক্ষা করছে। ফলে দিঘার সমুদ্রে জেলিফিস ভেসে এলে ভুলেও ছুঁয়ে দেখবেন না।