অবতক খবর,২৩ অক্টোবর: পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার দেরিয়াপুর গ্রামে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় নতুন মোড়। মৃতের বাবার দাবি, তার দুই ভাইপো সুপারি কিলার লাগিয়ে তার ছেলেকে খুন করিয়েছে।
গতকাল কলকাতার এক ব্যবসায়ী খুন হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের রায়নার গ্রামের বাড়িতে। মৃত ব্যবসায়ীর নাম সব্যসাচী মণ্ডল (৪৪)।বাড়ি রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে।বর্তমানে তিনি থাকেন হাওড়ার শিবপুরে।সেখানে তার পলিথিনের ব্যবসা আছে।শুক্রবার সব্যসাচী মণ্ডল এক বন্ধুকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি দেরিয়াপুরে আসেন।রাতে বাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল। সেই সময় সব্যসাচী মণ্ডলের গাড়ির চালক তাকে ছাদ থেকে নীচে নিয়ে যায় কেউ ডাকছে বলে।তারপরেই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন সব্যসাচীর বন্ধু রাজবীর সিং ও রাধুনি পার্থ সান্যাল।তারাই সব্যসাচীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান।

এই ঘটনায় গাড়ির চালক ও রাধুনি দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
আজ মৃতের বাবা দেবকুমার মণ্ডল একটি চাঞ্চল্যের দাবি করে বসেন। তার দাবি, তাদের পরিবারে সম্পত্তি নিয়ে চরম বিবাদ চলেছে। ২০১৬ সালে তার মায়ের মৃত্যুর পর তার ভাইপোরা তার ছেলেকে শ্মশানে বেধড়ক মারধর করে। তার ধারণা, তার দুই ভাইপো দীনবন্ধু এবং সোমনাথ সুপারি কিলার লাগিয়ে তার ছেলেকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করিয়েছে। আজ রায়না থানায় তার ছোট ভাই গৌরহরি মন্ডল, ভাতৃবধু পূর্ণিমা মন্ডল, ভাইপো দীনবন্ধু মন্ডল ও সোমনাথ মন্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তার আবেদন, প্রশাসন আর আদালত এই নৃশংস খুনের বিচার করুক।দোষীদের শাস্তি দিক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়না থানার পুলিশ।