পেটে গামছা বেঁধে মানুষ জীবনমৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। এদেশের মানুষ বারুদ খেয়ে বাঁচে। তার দৃষ্টান্ত পাওয়া গিয়েছে নৈহাটির মামুদপুরে দেবক গ্রামে, হালিসহর আচার্য পাড়ায়, ভাঙনপাড়ায়। আজ দীর্ঘ বছর পরে বেআইনি ভাবে পয়সা নিয়ে হাত পাকাতে পাকাতে পুলিশ আজ বারুদঘর বাজেয়াপ্ত করতে যায়। বারুদে আগুন লাগায় গ্রামকে গ্রাম জ্বলে যায়। উত্তেজিত জনতা পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন লাগায়।

পুলিশ ও পুলিশের মা
তমাল সাহা

পুলিশ লাঠি চার্জ জানে না
পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল
কোনোদিনও দেখেনি
পুলিশ গুলি ছুঁড়তে জানে না
যদি বা ছোঁড়ে বুলেট
মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়।

পুলিশ সাট্টা-চোলাইয়ের
ঠেক থেকে তোলা তুলতে জানে
ঠেকগুলো কোথায় তা জানেনা।

পুলিশ হাইওয়েতে চলমান ট্রাক থামিয়ে তোলা তুলতে জানে
হাইওয়ে কোথায় জানে না।

পুলিশ প্রমোটারের কাছ থেকে
পয়সা নিতে জানে
তবে প্রমোটারকে চেনে না।

পুলিশ পুকুর আর বালি মাফিয়াদের
কাছ থেকে বখরা নিতে জানে
কিন্তু মাফিয়াদের কোনদিন দেখেই নি।

পুলিশ নৈহাটির দেবকগ্রাম
হালিসহর আচার্যপাড়া, ভাঙনপাড়া
কোথায় জানে না
সেখানে শত শত বেআইনি বাজির
কারখানা আছে তা কি পুলিশ জানে?

যদি জানতো তবে বারুদ বিস্ফোরণে
এত পেটে গামছা বাঁধা মানুষ মরে?

তবে পুলিশ বারুদঘরের মালিকের কাছ থেকে মাসকাবারি হিস্যা নিতে জানে।

পুলিশ যে কী জানে বা জানেনা
পুলিশের মা-ও জানেনা।