অবতক,২ এপ্রিল: বীজপুর বিজেপি মন্ডলের পক্ষ থেকে ১২ দিন যাবত খাদ্যের প্যাকেট বিলি করা হচ্ছে। আজ কাঁচরাপাড়া হকার্স কর্ণার সংলগ্ন সিটিমার্ট অঞ্চল থেকে খাদ্য বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। আজ ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং সেই খাদ্য বিতরণ কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন। ফলত,এটি জানাজানি হওয়ার পর খাদ্যপ্রার্থীদের ভিড় জমে যায়। তাদের আশা ছিল সাংসদ আসছেন তাদের মনের কথা কিছু জানাবেন।

সাংসদ অর্জুন সিং আসার প্রাকমুহুর্তে বেশ ভিড় হতে থাকে এবং ঘটনাস্থলে বীজপুর পুলিশ প্রশাসন নিজে এসে পড়ে। তারা এই ভিড় দেখে বিরক্তবোধ করেন কারণ,করোনা বিষয়ক সর্তকতা তেমন ভাবে পালন হচ্ছে না বলে আই সি ক্ষুব্ধ হন। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি কর্মীরা বলেন যে,আজ সাংসদ আসবেন। ফলত ভিড় হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের। পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়,যদি যথাযথভাবে করোনা সতর্কতা মেনে বন্টন করতে পারেন তো করুন, নাহলে বন্ধ করে দিন।তখন বিজেপি কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং তাদের মধ্যে একটু বাকযুদ্ধ চলে।

বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ যে, খাদ্য বন্টন না হয় আমরা বন্ধ করে দিলাম, কিন্তু এটা সুষ্ঠু বন্টনের জন্য পুলিশেরও তো আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত ছিল। তারা সেই দায়িত্বটি নিলেন না কেন? তারা দু একজন দাঁড়িয়ে বিলি বন্টনে আমাদের নির্দেশ দিতে পারতেন! আমরা কি এই দুঃসময়ে পুলিশের নির্দেশ অমান্য করতাম?
এত যে মানুষ খাদ্যের আশায় এসেছেন তাদের বঞ্চিত করাটা কি সঠিক হবে? তারাও তো দায়বদ্ধ হয়ে,মানবিক হয়ে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারতেন।

উপরন্তু তারা সেই সহযোগিতা না করে বরঞ্চ হুমকি দেন যে তারা কিছু করতে পারুক আর না পারুক তারা ‘লিখে’ দেবেন। এই ‘লিখে’ দেবেন কথাটির মানে কি? এতে একটু আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। তারা বুঝতে পারেন যে, তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু অভিযোগ দায়ের করার ইঙ্গিত এর মধ্যে রয়েছে।

যাই হোক, পরবর্তীতে বিজেপি সাংসদ আসেন এবং তিনি খাদ্য বিতরণ করেন। কর্মীদের তিনি উৎসাহিত করে যান এবং সাহস দিয়ে যান, যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে যেন তাঁকে তৎক্ষণাৎ জানানো হয়। দরকার হলে তিনি নিজে এসে থানা অঞ্চলে অবস্থান করে এর প্রতিবাদ করবেন।‌ জনগণের স্বার্থে তারা খাদ্য বিতরণ করছেন, কোন অন্যায় করেননি। সবসময় প্রতিমুহূর্তে নিয়ম পালন করা যাচ্ছেও না। সে ব্যাপারে তো পুলিশের সহযোগিতা দরকার। পুলিশ যখন দেখতেই পাচ্ছে যে অবস্থাটা যতটা স্বাভাবিক হওয়ার কথা তা হচ্ছে না, পুলিশের নিশ্চিত সেখানে সহযোগিতা করা দরকার ছিল। ‌

আজ বিজেপি কর্মীরা জানান, প্রায় চারশোর মত প্যাকেট তারা বিলি করেছেন।