অবতক খবর , সংবাদদাতা , পূর্ব বর্ধমান :- পুরোহিত ভাতা নিয়ে কোন রাজনীতি করা হচ্ছে না।পুরোহিতদের দাবী ছিল বহু দিনের।তাই তাদের দাবী মেনেই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ওরগ্রাম সমন্বয়ী প্রকল্পে ৪০ একর জায়গার উপর একটি ইকো পার্কের উদ্ধোধন করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি ইকোপার্ক সংলগ্ন জলাশয়ে মাছের চারা ছাড়েন।

 

তিনি বলেন জেলা পরিষদের এই সমন্বয়ী প্রকল্প একটি বড় সম্পদ।এটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে তা নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি এখানে গরিব বা দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য ব্যবস্থা করা হবে।সেখানে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষারও ব্যবস্থা থাকবে।এখানকার অনেক জমি বেহাত বা দখল হয়ে গেছে।সেই বিষয়ে তিনি বলেন চেষ্টা করা হচ্ছে জমি পুনরুদ্ধারের। তবে কাজটা বেশ কঠিন। কারণ যাঁরা জমি কিনেছিলেন সেই কাগজপত্র সব ঠিক নেই।

এদিন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জেলা শাসক বিজয় ভারতী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া,বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল ও সহসভাধিপতি দেবু টুডুর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন , ওরগ্রাম সমন্বয়ীতে।সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত, বাগবুল ইসলাম, মিঠু মাঝি সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।বৈঠকে ঠিক হয় এখানকার ভেঙে পড়া শিল্প কারখানা গুলিকে নতুন করে গঠন করা হবে।তবে কি ভাবে হবে তার রূপ রেখা তৈরির জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।যেমন রুটি কারখানাকে নতুন করে চালু করার বিষয়টিও মন্ত্রী বলেন। মাছের চাষের কাজে তিনি জোর দেন।তাতে বহু মানুষ কাজ পাবেন।

এখানে উল্লেখ্য বাম আমলে ওরগ্রাম সমন্বয়ী তৈরি হয়।কাঠের কাজ থেকে রুটি কারখানা একাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয় , সেই সময়ে।পরবর্তীকালে কিন্তু বাম শাসনকালেই সমন্বয়ীর পরিকাঠামো ভেঙে পড়ে।তবে বর্তমান শাসকদল ক্ষমতায় আসার পরেই সমন্বয়ীকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।