অবতক খবর,২৮ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- পুরসভা ভোটের আগে তৃনমূলের অন্দরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে, এক মঞ্চেই দল বদল করা বিধায়ক ও পুর প্রশাসকের তির্যক মন্তব্যে সরগরম প্রাচীন মল্লরাজধানীর রাজনীতি।

পুরসভা ভোট এগিয়ে আসতেই অন্তর্কলহে জেরবার পফম শিবির। বিষ্ণুপুরে এবার সেই একই পথে হাঁটল শাসক তৃনমূল। একই মঞ্চ থেকে দল বদল করা বিধায়ক ও পুর প্রশাসকের একে অপরকে লক্ষ করে তির্যক মন্তব্যে সরগরম প্রাচীন মল্লরাজধানী বিষ্ণুপুরের রাজনীতি।

গত বিধানসভা নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে দল বদলে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপির প্রার্থী হন স্থানীয় তৃনমূল নেতা তন্ময় ঘোষ। তৃনমূলের প্রার্থী হন অর্চিতা বিদ। বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে পরে বিধায়ক তন্ময় ঘোষ যোগ দেন তৃনমূলে। তৃনমূলের তরফে বিষ্ণুপুর পুরসভায় প্রশাসক পদে বসানো হয় গত বিধানসভা নির্বাচনে তন্ময় ঘোষের প্রতিদ্বন্দ্বী অর্চিতা বিদকে। দুজনেই ঘাসফুল শিবিরে থাকলেও পুরসভা নির্বাচনের আগে বিষ্ণুপুরেরবিধায়ক ও পুর প্রশাসক যে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তার প্রমাণ মিলল গত কালের একটি সভায়। বিষ্ণুপুরের রসিকগঞ্জ এলাকায় তৃনমূলের শ্রমিক সংগঠনের ডাকা একটি সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে বিধায়ক ও পুর প্রশাসক নাম না করে একে অপরের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দেন। বিধায়ক বলেন, সামনের পুরসভা নির্বাচনে মাসির রাগ মা এর উপর ঝাড়বেন না।

বক্তব্যে নিজেকে ভূমিপুত্র বলেও দাবি করেন বিধায়ক। রাজনৈতিক মহলের ধারণা বিধায়ক নিজেকে ভূমিপুত্র পরিচয় দিয়ে আসলে বড়জোড়ার বাসিন্দা ও বহিরাগত বলে পুর প্রশাসক অর্চিতা বিদকে খোঁচা দিয়েছেন। এরপর ওই মঞ্চেই পালটা বিধায়কের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য করেন পুর প্রশাসক অর্চিতা বিদ। দলের নেত্রীর প্রতি আস্থা না রেখে অনেক মেরুদন্ডহীন মানুষ অন্য দলে নাম লিখিয়েছিলেন বলে পুর প্রশাসকের করা মন্তব্য আসলে বিধায়কের প্রতি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও পরে বিধায়ক ও পুর প্রশাসক দুজনই মঞ্চে করা বক্তব্য বিশেষ কোনো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে করা তির্যক মন্তব্য বলে মানতে নারাজ। তৃনমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি পরিবার বড় হলে একটু সমস্যা হয়েই থাকে। পুরসভায় দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলেই এই সমস্যা থাকবে না বলেই আশা তৃনমূল জেলা নেতৃত্বের।

বিরোধীদের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সূর্য রাতে ছাড়েননি বিজেপি বিজেপির মন্ডল সভাপতি উত্তম সরকার বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রশাসক এবং বিষ্ণুপুর বিধানসভার বিধায়ককে বলেন একজন গদ্দার অন্যজন বহিরাগত এদেরকে বিষ্ণুপুর মানুষ বিশ্বাস করে না এদেরকে ভোট দেবে না এরা যত গোষ্ঠী কোন্দল করবে ততোই বিজেপির ভোট ব্যাংক বাড়বে ।