অবতক খবর,১৭ সেপ্টেম্বর: পুরসভার কাজে স্বচ্ছতা আনতে এবার বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিল বর্ধমান পুরসভা। এরফলে সর্বোচ্চ কম সময়ের মধ্যে পরিষেবা মিলবে ,সে বিষয়ে স্পষ্ট পৌর প্রশাসক সাংবাদিকদের জানালেন, খুব তাড়াতাড়ি এই পরিষেবা পেতে চলেছে বর্ধমানের নাগরিকদের। পাশপাশি, পুরসভার কাজের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল ধারনা কাটবে বলে মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই বিভিন্ন পরিষেবা পেতে পুরসভার দ্বারস্থ হতে হয় সকলকে। এছাড়া বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা এতে তাদের গ্রাম ছেড়ে যেত পৌরসভায় আস্তে আস্তে পায়ের জুতো ছেড়ে যেত, অভিযোগ সমস্ত ক্ষেত্রেই পুরসভা ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, এতদিন পুরসভার পরিষেবা নিয়ে নানান অভিযোগ ছিল। আবেদন করার পরও ঠিক সময়ে শংসাপত্র না পাওয়া ও একাধিকবার জানানোর পর পরিষেবা না মেলার অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্যার সমাধানে বর্ধমান পৌরসভার নতুন প্রশাসক মন্ডলী গঠনের পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বর্ধমান পৌরসভা। এবার থেকে কোনও পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কত সময় লাগবে সে বিষয়ে একটি জন সনদ প্রকাশ করা হয়েছে। যেকোনো নাগরিক এই তালিকায় দেখে নিতে পারবেন কোন পরিসেবার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কত সময় ব্যয় হতে পারে। এর ফলে পুরসভার পরিসেবার ক্ষেত্রে যেমন স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। অন্যদিকে,পুরসভা সম্পর্কে মানুষের ভুল বিভ্ৰান্তি কাটবে বলে মনে করেছেন প্রশাসকরা।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। পুরসভার পক্ষ থেকে পেশ করা হয়ছে বেশ কিছু নিয়মাবলী, অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই অভাব-অভিযোগ মানুষ জানাতে পারবে আর সেই অভিযোগ পৌর প্রশাসক জানতে পারবে আর তিন দিনের মধ্যে সেই বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু হবে,জানানো হয়ছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি, জলের পাইপ লাইন সংক্রান্ত অভিযোগ ৫ দিনের মধ্যে সমাধান করা হবে। জমি জায়গার প্ল্যানের পাওয়ার ক্ষেত্রে ১৫ দিন, জন্ম সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ দিন, স্যানিটারি ট্যাংক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ১০ দিন, রাস্তার আলো মেরামতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১দিন সমস্ত বিষয় নিয়ে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য পরিষেবা সহ মত ৪১ টি পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান প্রণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” পুরসভার সমস্ত ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই ব্যবস্থা। এছাড়াও সঠিক সময়ে নাগরিক পরিষেবা পাওয়া সকলের অধিকার। পুরসভার কোন পরিষেবা পেতে সর্বাধিক কত সময় লাগবে সেই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকলে বিভ্রান্তি কম হবে।” তিনি বলেন, ” তথ্য জানার অধিকার আইনে সরকারি পরিষেবা বিষয়ে জানার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের। এই বিষয়ে পুরসভার দিন বেঁধে দিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই পুরসভা সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যানারের মাধ্যমে এই বিষয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোকপাত করলেন বর্ধমান পৌরসভার উপ প্রশাসক আইনুল হক, তিনি এও জানিয়েছেন যে সমস্ত বিনা প্লানে কাজ হয়েছে সেই সব দিকে নজর দেয়া হবে এবং তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, আর যে সমস্ত মানুষ পরিষেবা চাইছেন অথচ পরিষেবা পাচ্ছেন না তাদের কম সময়ে পরিষেবা দেবার ব্যবস্থা করা হবে