অবতক খবর,৪ জানুয়ারি: নেতা মন্ত্রীদের নিয়ে বিশাল দলীয় মিটিং হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূল দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক পদটি অর্জনের পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে নতুন তৃণমূল হবে। একটি সভায় তিনি বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যেই নতুন তৃণমূল দেখতে পাবেন। এর সারমর্ম দলের কর্মীরা তো বুঝতেই পারেনি নেতাদের কাছেও বোধ হয় রহস্য থেকে গিয়েছে।

ক্ষমতার দাপট এমনই থাকে যে দলের মধ্যে পুরনো গাছ থেকে নতুন গাছ জন্মায় নাকি পুরনো গাছ উপড়ে নতুন গাছ পুঁততে হয় কে জানে? সকলে চুপ ছিলেন কিন্তু ভেতরে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। কাঁচরাপাড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি খোকন তালুকদার প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, তৃণমূলের পুরাতন কর্মীরা সম্মান পাচ্ছেন না। কারা পুরনো, কারা নতুন এর শনাক্তকরণ হবে কিভাবে ?

ইতিমধ্যে একটি ছবি প্রমাণ করে দিয়েছে কারা পুরনো, কারা নতুন, এবং দলীয় ক্ষমতার চাবুক কার কাছে, বা কোন গোষ্ঠীর কাছে, বা কোন দিকে যাচ্ছে। একটি মঞ্চে দেখা যাচ্ছে সুপ্রিমো মধ্যস্থলে তাঁর বাঁদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক অনেক কাছে এবং তাঁর ডানদিকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি অনেক দূরে বসে আছেন। কে নতুন ? কে পুরনো ? এই ছবিটি কি প্রতীকী বা তাৎপর্যবাহী ? মাঝখানে তৃণমূল নেত্রী কবরস্থানে থেকেই কি সেই বিভাজনকে স্পষ্ট করে দিচ্ছেন ? দূরত্ব বিষয়ক গণিত রয়েছে, তাতে বিভিন্ন অংক রয়েছে। এই ছবিটি থেকে বোঝা যাচ্ছে, কার কাছে কার দূরত্ব কতখানি। সংবাদপত্রে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এই ছবি দেখা গিয়েছে। এখন কিভাবে তৃণমূল দল তৈরি হবে, যুব নেতা জানিয়ে দিয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্তদের উপড়ে ফেলা হবে, সরিয়ে দেওয়া হবে। দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে অন্য দুর্নীতিগ্রস্তদের তিনি কিভাবে শনাক্ত করবেন। য়ষ ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে যে! দলের কর্মীরা চুপ থেকে সবই সহ্য করে যাবেন ক্ষমতার এমনই দাপট। তারা বলছেন ইতিমধ্যে দুর্নীতিগ্রস্ত কয়কজন পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত প্রধান এবং পঞ্চায়েত নেতাকে একটা নির্দেশেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা নিশ্চিত দুর্নীতিগ্রস্ত বলে সর্বভারতীয় সম্পাদকের কাছে প্রমাণ আছে। কোন দুর্নীতিগ্রস্ত কাকে হটাবেন এই প্রশ্নটি দলের মধ্যে উঠেছে ?

উল্লেখ্য এদিন মঞ্চে প্রথম ভাষণটি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তারপরে ভাষণ দিয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর পরে আর কেউ বক্তৃতা দেবার সুযোগ পাননি এবং তিনজন ব্যক্তি ছাড়া এমন কি অন্যতম মুখপাত্র বা চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে ফিরহাদ হাকিমও মঞ্চে উপবেশনের স্থান পাননি। মিডিয়ায় বারবার দেখানো পরিচিত কুনাল ঘোষও বাদ গিয়েছেন।

অন্যদিকে আরেকটা প্রশ্ন উঠেছে ধানে পোকা লাগার কথায়। একটা মরসুমে ধান যখন ওঠে তখন পোকা ধরে, কিন্তু একটা দল তো কোন মরসুমি দল নয়, সে তো কবেই তার যাত্রা অভিযাত্রা শুরু করেছিল। পোকা লাগার সংবাদ এত দেরিতে পাওয়া গেল কেন ?পোকা লাগা দলনেতা, দলীয় কর্মীদের সরিয়ে দিতে হবে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই বলছেন, দলে বড় পোকা থাকে। দলের বড় পোকাকে সনাক্ত করবে কে ? অর্থাৎ ভারতীয় রাজনীতিতে বঙ্গোপসাগরীয় উপত্যকা থেকে এই পোকা শব্দটির ব্যবহার বিশেষ মাত্রা পেয়ে গিয়েছে।