অবতক খবর,১ সেপ্টেম্বরঃ রেল যাত্রী ও এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পান্ডুয়া স্টেশনে ইউটিএস কাম পিআর এসকাউন্টার এর। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে শুক্রবার পান্ডুয়া স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্মে রিজার্ভেশন টিকিট কাউন্টারের উদ্বোধন করলেন হুগলির সাংসদ তথা অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ফিতে কেটে এই কাউন্টারের উদ্বোধন করেন তিনি। আর এরপরেই এর প্রথম হাওড়া শান্তিনিকেতন রিজার্ভেশন টিকিট কাটা হয় কাউন্টার থেকে।সঙ্গে ছিলেন পূর্ব রেলের এডিআরএম সৌরিশ মুখোপাধ্যায় সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আগে রেলের রিজার্ভেশন টিকিট কাটতে অন্যান্য স্টেশন গুলিতে যেতে হতো বা মোবাইলের ইন্টারনেটের মাধ্যমে রিজার্ভেশন টিকিট কাটতে হতো।

কিন্তু এখন আর যেতে হবে না । আজ থেকে পান্ডুয়া স্টেশনে রিজার্ভেশন টিকিট কেটে বাঙ্গালোর, বোম্বে, চেন্নাই সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছতে পারা যাবে। পান্ডুয়া স্টেশনে রিজার্ভেশন টিকিট কাটতে গেলে সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে দুপুর ১:৩০ মিনিট পর্যন্ত কাউন্টার খোলা থাকবে। পরবর্তীতে তা আরো সময় বাড়ানো হবে। যদিও তৎকাল রিজার্ভেশন বা কারেন্ট রিজার্ভেশন এর সুবিধা এখনো পর্যন্ত দেওয়া যায়নি। যাত্রীদের চাহিদা থাকলে খুব শীঘ্রই তৎকাল রিজার্ভেশনের ব্যবস্থা পান্ডুয়া স্টেশনে থেকে করা হবে । এছাড়া পান্ডুয়া স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে রেল । পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ অন্যান্য ব্যবস্থা চালু করা হবে। এই রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় দশ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন বলে জানান এডিআরএম সৌরিশ মুখোপাধ্যায়।

সাংসদ লকেট বলেন, এটা আমার কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে রেল উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রিজার্ভেশন কাউন্টারের। সেই মতো রেলমন্ত্রীর কাছে আমি নিজে আবেদন করেছিলাম এবং তিনি সেই কথা রেখেছেন। বাংলা থেকে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন বিভিন্ন কাজে। তাদের আর কলকাতা বা ব্যান্ডেল যেতে হবে না। এখান থেকেই তারা সবকিছু করতে পারবে। রিজার্ভেশন না হলে টিকিটের কোন মূল্যই থাকেনা। যদি এলাকার মানুষের দাবি রয়েছে সব ওয়েব সে প্রসঙ্গে লকেট বলেন , টেকনিক্যালি সবকিছু দেখে যদি করা যায় তাহলে নিশ্চয়ই সাবওয়ে হবে । রেলমন্ত্রী নিজেও সমস্ত জিনিস ভালো ভাবে দেখেন এবং চেষ্টা করেন 99 .9% যাতে কাজটা হয়ে যায়।

INDIA জোট প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, তারা নিজেরাই ঠিক করতে পারছেন না। নিতিশ কুমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুল গান্ধী কে প্রধানমন্ত্রী হবে। এক দু মাসের মধ্যেই দেখা যাবে ইন্ডিয়া জোটের আই একদিকে ডি এক দিকে এন একদিকে হয়ে গেছে। কারণ এরা সবাই নিজেদের স্বার্থের জন্য এসেছে কেউ দেশের স্বার্থের জন্য আসেনি।এরা এসেছে দুর্নীতি থেকে সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে। নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে আদালতের দ্বারস্থ অভিষেক এ প্রসঙ্গে লকেট বলেন, যেভাবে বড় বড় নেতা-মন্ত্রীরা ফাঁসছেন সেখানে বড় মাথা না থাকলে কিছু হয় না। নিজে বাঁচবার জন্য এই রাস্তা অবলম্বন করছে। তারা নিজেরা বলে কেউ কোন অভিযোগ পেলে ফাঁসির খাতে ভুলবো তাহলে তারা কেন নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য কোর্টে যাচ্ছে । ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের আগে দিল্লিতে রাহুল অভিষেক একান্তে বৈঠক প্রসঙ্গে লকেট বলেন , এরা কিছুই করতে পারবে না। এটা শুধু লোক দেখানো ।এক দুজনের সাংসদ পদ চলে গিয়েছিল। কোন কাজ কিছু হবে না।