পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরের গোষ্ঠী কোন্দল,ঘটনায় চাঞ্চল্য খরদহ পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ড এলাকায়

অবতক খবর,৬ মেঃ পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরের গোষ্ঠী কোন্দল,ঘটনায় চাঞ্চল্য খরদহ পৌরসভার ১৯ নং ওয়ার্ড এলাকায়।

তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য ও জেলার কোথাও জলাশয় ভরাট করে কোন কাজ করা যাবে না। আর সেই দলের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে এবার পুকুর ভরাট হচ্ছে খরদহ পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।আর এই পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরের গোষ্ঠীকোন্দল।খড়দহ পৌরসভার এলাকায় খাল সংস্কারের কাজ চলছে।প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জীব পাল চৌধুরীর অভিযোগ খড়দহ পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এলআইসি কোম্পানির সরকারি জলাশয়ের জমি রাতের অন্ধকারে খাল সংস্কারের মাটি পৌরসভার ট্রাক্টর করে নিয়ে এসে ভরাট করা হচ্ছে। আর এই গোটা ভরাট করার ঘটনা ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলার মৌসুমী পালের নেতৃত্বে হচ্ছে।এমনটাই অভিযোগ প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জীব পাল চৌধুরীর।রাতের অন্ধকারে এলাকায় ট্রাক্টর ঢোকার শব্দে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

তাই এই ঘটনায় সরব হয়েছে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও,যেখানে পুকুর ভরাটের ঘটনা ঘটছে সেখানে বিক্ষোভ দেখায় প্রাক্তন কাউন্সিলার ও তার অনুগামীরা। প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জীব পাল চৌধুরীর নিয়ে আসা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বর্তমান কাউন্সিলার মৌসুমী পাল।মৌসুমী পালের অভিযোগ সেখানে কোন জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে না।সেখানে রাস্তা তৈরি হবে। প্রাক্তন কাউন্সিলার ৫ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন।

এলাকায় কোন উন্নয়ন করেননি।তাই আমি উন্নয়নের কাজ করছি বলে আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন প্রাক্তন কাউন্সিলার।গোটা ঘটনায় পৌরসভার পক্ষ থেকে উপ পৌরপ্রধান সায়ন মজুমদার বলেন,দুপক্ষের অভিযোগ পৌরসভায় জমা পড়েছে। জলাশয় ভরাট করে কোন উন্নয়নের কাজ পৌরসভা বরদাস্ত করবে না।অন্যদিকে পুকুর ভরাট নিয়ে শাসকদলেরই প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলারদের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।আর শাসকদলেরই দুই কাউন্সিলরের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।