অবতক খবর,১২ জুন,মলিচাগড়ঃ নদিয়া জেলার বারো টি পিছিয়ে পরা গ্রামের সবজী বিক্রেতার মেয়ের স্বপ্ন সচ্চ প্রশাসক হওয়ার।চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির মলিচাগড় গ্রাম।এখানকার বেশির ভাগ মানুষই দিন মজুর অন‍্যের জমিতে চাষ করে বেঁচে আছে।এই গ্রামের বাসিন্দা নিজাম মন্ডল পেশায় সবজী বিক্রেতা মাসিক আয় আট থেকে দশ হাজার টাকা দুই মেয়ে বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।ছোটো মেয়ে নার্গিস মন্ডল পঞ্চম শ্রেনি থেকে দ্বাদশ শ্রেনি পযর্ন্ত শিমুরালি উপেন্দ্র বিদ‍্যাভবন ফর গার্লস্ স্কুলে পড়াশুনা করেছে।বড়াবড়ি ভালো ছাত্রী।

মাধ‍্যমিকে ৪৯৫ নম্বর অর্থাৎ একাত্তর শতাংশ নম্বর পেয়ে ছিল। উচ্চ মাধ‍্যমিকে ৪৫২ নম্বর অর্থাৎ প্রায় ৯১ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে।আগামী ২০ শে জুন হাতে রেজাল্ট পাবে।নার্গিসের প্রাপ্ত নম্বর বাংলা ৯৩,ইংরাজী ৬১,ইতিহাস ৯২,ভূগোলে ৮৮,শিক্ষাবিজ্ঞানে ৮৫, এবং দর্শনে ৯৪,পাঁচ টাতেই লেটার পেয়েছে।নার্গিসের স্বপ্ন যে কোন কলেজে পাশ কোর্সে ভর্তি হতে।

বিসিএস পরীক্ষায় বসতে চায়।হাতে রেজাল্ট পাবার পর দাদার কাছে কোচিং নেবে তার প্রস্তুতি নিচ্ছে।নিজের স্কলারশীপ,মা কাঁথা সেলাই করে অর্থ উপার্জন করে মেয়ের পড়াশুনার খরছ চালাতো,দিদি ও নিজের টিউশানি করে পয়সা দিয়ে প্রাইভেট শিক্ষকের পয়সা যোগাতো।ছোটো বেলা থেকেই স্বপ্ন দক্ষ প্রশাসকের।

চাঁদুড়িয়া পঞ্চায়েতের মলিচাগড় গ্রামটি আত্ম সামাজিকে নিরিখে পিছিয়ে পরা গ্রাম আর এই পিছিয়ে পরা গ্রামের মেয়ে নার্গিস দক্ষ প্রশাসক হবে। তার জন‍্য দরকার আর্থিক সহায়তা।গত দুবছর কোভিডের কারনে আর্থিক অনটনটা নিজের চোখে দেখেছে মামারা ও পাড়া পরশীরা যদি পাশে না থাকতো কি অবস্থা হতো তা নিজে উপলব্দি করেছে।