অবতক খবর,১৪ এপ্রিল: বীজপুরের রাজনীতি যে কবে শোধরাবে তা কেউ জানে না! আর এই অঞ্চলের রাজনীতিতে কখন যে কি হবে তাও কেউ জানে না। কারণ ‘জো দিখতা হ্যায় ওহ বিকতা হ্যায়,অউর জো দিখতা নেহি ওহ বিকতা নেহি’ এই অবস্থা এখন বীজপুরের।

এই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই দলের দুজন প্রার্থী। কিন্তু তাদের দুজনের নামের অর্থ এক। মহাভারত অনুযায়ী, যে অর্জুন সেই পার্থ। এখানেও ঠিক তাই! পার্থ ভৌমিক যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই নাম উঠে আসছে অর্জুনের।
ভাটপাড়ার একটি সভাতে পার্থ গেলেন সেখানে স্লোগান দেওয়া হল অর্জুনের।

এদিকে অর্জুন নিজেই বলছেন যে, পার্থ ভৌমিকের সাথে যারা থাকছেন তারাই অর্জুনকে ভোট দেবেন।

অন্যদিকে পার্থ ভৌমিক বলছেন,আমিও চুরি পরে বসে নেই। চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।

সংগঠনকে মজবুত করতে উঠে পড়ে লেগে রয়েছেন অর্জুন সিং। ‌ পার্থ ভৌমিক বলেছিলেন, অর্জুন বিজেপিতে যাওয়ার পর ভাঙ্গন ধরবে বিজেপিতে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তার উল্টো চিত্রই দেখা যাচ্ছে।। যেখানে তৃণমূল থেকে সব চলে আসছে বিজেপিতে।

অন্যদিকে পার্থ ভৌমিক আরো বলেছিলেন যে, অর্জুনকে আটকাবে বীজপুরের সুবোধ এবং জগদ্দলের শ্যাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সুবোধ-শ্যাম কেউই অর্জুনকে আটকাতে পারছে না। অথচ অর্জুন সিং আরো বেশি বেশি করে প্রচার প্রসার করছেন। ‌

দুদিন আগেই আমরা লিখেছিলাম যে,বীজপুরের এক বড় লিডার যোগাযোগ রাখছেন অর্জুনের সাথে।‌ আর এইটি লেখার পর গতকাল বীজপুরে শুভ্রাংশুর বাড়িতে দেখা গেল পার্থ ভৌমিককে। পার্থ ভৌমিক যখনই শুভ্রাংশুর বাড়িতে এসেছেন তখনই তাঁর সাথে দেখা গেছে বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে। কিন্তু গতকাল এমন কি ঘটলো যে তিনি সুবোধ অধিকারী সাথে থাকা তো দূর, তাঁকে না জানিয়েই সকাল সকাল শুভ্রাংশু রায়ের বাড়িতে চলে এলেন এবং মিটিং করলেন বীজপুরের বর্ষীয়ান নেতা সুজিত দাস এবং শুভ্রাংশুর সাথে।

সূত্রের খবর, পার্থ ভৌমিক নাকি বিশ্বাস হারাচ্ছেন এই অঞ্চলের নেতৃত্বদের উপর,না হলে সুবোধ অধিকারীকে বাদ দিয়ে তিনি এই বৈঠক করতে পারতেন না।

এই সেই সুজিত দাস, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর যখন গেরুয়া ঝড় বয়েছিল তখন একমাত্র ময়দানে ছিলেন সুজিত দাস। কাঁচরাপাড়ায় মমতা ব্যানার্জীর আগমনকালে সুজিত দাসের আহবানে একজোট হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা।

কিন্তু বীজপুরের সাধারণ মানুষের মনে এখন প্রশ্ন যে, এমন কি গুপ্ত বৈঠক হলো সুজিত-শুভ্রাংশুর সাথে যে সেখানে রাখা হলো না খোদ বীজপুর বিধায়ককেই?

এই দেখে বীজপুরের সাধারণ মানুষ বলতে শুরু করেছেন যে, পার্থ ভৌমিক আর অধিকারীদের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। শুধু বিধায়ক নন, কাঁচরাপাড়ার আর এক অধিকারীর উপরও পার্থ ভৌমিক ভরসা করতে পারছেন না। তাই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাজিনগরের।

এদিকে শুভ্রাংশু রায়কে নিজের ওয়ার্ডের দায়িত্ব সহ নৈহাটি গ্ৰামীণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এইসব তামাশা দেখে বিরোধীরা বলছেন,পার্থ ভৌমিক আর ভরসা রাখতে পারছেন না ছোট অধিকারীর উপরে।

এই বীজপুরে রাজনীতির কি রঙ্গ তামাশা চলছে তার প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে চোখ রাখুন অবতক খবরে…