অবতক খবর,২৮ জুলাই,সুন্দরবন: শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জির একের পর এক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ও সোনার গয়না। পার্থর সাম্রাজ্য শুধুমাত্র কলকাতায় সীমাবদ্ধ ছিল না সাম্রাজ্যের জাল ছড়িয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে একাধিক জমি সহ হোটেল রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (ইডি) আধিকারিকেরা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবার ,বারুইপুর, ভাঙড়, সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে প্রাপ্ত জমি ও সম্পত্তি। এবার রহস্যে মোরা সুন্দরবনের দুটি হোটেল। নিউ সুরঞ্জনা অন্যটি হলো নিউ রয়েল বেঙ্গল। সুন্দরবনের একেবারে সজনে খালি জঙ্গলের অপজিটে অবস্থিত দয়াপুরে। এলাকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামাইয়ের হোটেলে নামে পরিচিত। তবে এই হোটেল দুটিতে মাঝেমধ্যে যাতায়ত চ্ছিল মন্ত্রীর। এমনই দাবি গ্রামবাসীদের।

কয়েক কোটি কোটি টাকা খরচা করে হোটেলটি বানানো হয়েছে, দয়াপুরের এলাকাতে। পুরো হোটেলটাতে ই সুইমিং পুল অডিটোরিয়াম সহ অত্যাধুনিক ব্যবস্থা আছে। কলকাতার এক নামে ব্যবসায়ীর নামেই পরিচালিত হয় এটি। মানুষজন জানেন এটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাইয়ের হোটেল নামেই। কনো এক পিকে রায় নামে এক ব্যক্তি এই হোটেল দুটির পঞ্চায়েতের ট্যাক্স থেকে শুরু করে সরকারি কাগজপত্র জমা করেন। কিন্তু এই হোটেল নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নয় কোন এলাকাবাসী। সাংবাদিক পরিচয় দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় হোটেলের মেন গেট। ছুটি করে দেওয়া হয় কর্মীদের।

অথচ হোটেলের মধ্যে আছে কুড়িটি কটেজ আর শতাধিক রুম। শুধুমাত্র এখানেই শেষ নয়। জেলার কোনায় কোনায় রয়েছে পার্থর সম্পত্তি এমনটাই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।

রহস্যময় হোটেলের কথা সামনে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা , জয়নগর বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার জানান, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী উচিত এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা। তারই মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণের ধন-সম্পত্তি উদ্ধার করছে তদন্তকারী সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রী এখন চুপ কেন। তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ মন্ডল বলেন, এখন তদন্ত চলছে, এই প্রশ্নের উত্তর ইডি ও সিবিআই দিতে পারবে।