পাগলা ঘন্টি ( বিনায়ক সেনকে সামনে রেখে ) / তমাল সাহা

জীবন্ত কিংবদন্তি তিনি। মানবাধিকার কর্মী। তাঁর গ্রেপ্তারি ও জেল বন্দিত্ব নিয়ে তোলপাড় হয়ে উঠেছিল সমগ্র দুনিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল।বিশ্বের নোবেল লরিয়েটররা তাঁর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন। বহু পুস্তক প্রণেতা তিনি। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পুরস্কার– The Jonathan Mann Award, The Gwangju Prize for Human Rights, Gandhi International Peace Award.কল্যাণীর মানুষ তিনি, ডাঃ বিনায়ক সেন- শিশুরোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। জন্ম ৪ জানুয়ারি,১৯৫০

পাগলা ঘন্টি
( বিনায়ক সেনকে সামনে রেখে )
তমাল সাহা

শব্দ দুটিতে লেগে আছে স্পর্শের সুখ।
সে তো সবাই জানে।
অথচ তারা কি অসাধারণ ভয়ঙ্কর
তা জানা গেল এই শীতের প্রহরে।
নিরাময় শব্দটি এতদিন পর অভিধান থেকে উঠে এলো হাতের পাতায়।
শুশ্রূষা শব্দটিকে জুলজুল চোখে দেখতে পেল
বস্তারের দুর্গম জঙ্গল, দিল্লির রাজহরার খাদান,পাহাড় ঘেরা ছত্রিশগড়ী তল্লাট।

দিন নেই রাত নেই
শব্দদুটি হাঁটতে হাঁটতে বনবাসী গাঁয়ে কাজ করতে করতে
আরো দুর্দান্ত হয়ে উঠছিল। হাঁটছিল বলেই
কাজ করছিল বলেই
ওরা শব্দদুটিকে শেকল পরিয়ে নিয়ে গেল জেল কুঠুরির ভিতর।

এত রাতে প্রসব হবে কার? কে কাতরাচ্ছে অরণ্যের ভিতর?
সাধারণ চিকিৎসায় কাজ হবে না।
শব্দ দুটি এখন দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে অস্ত্রোপচারের দিকে।

রাত্রির নিস্তব্ধতা ভেঙে
হরিণ বাড়িতে বেজে চলেছে পাগলা ঘন্টি….

দেখো শব্দদুটি কী সুন্দর পেয়ে গেছে সন্ত্রাসী আদল!